ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেঁসে যাচ্ছেন সেই ‘বড় ভাবি’

  শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৩:১৮  
আপডেট :
 ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৮:২৯

ফেঁসে যাচ্ছেন সেই ‘বড় ভাবি’
জাহান আরা খানম লাকি

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ও এক সময়ের বিএনপির প্রভবশালী নারী নেত্রী জাহান আরা খানম লাকি ওরফে ‘বড় ভাবি’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মাসাতের ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সদর থানায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগটি সদর থানায় জিডি হিসেবে গ্রহণ করে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৩৪টি জাল চালানে ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাতের অস্তিত্ব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম লাকিকে দায়ী করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বিএনপিসহ চারদলীয় জোট সরকারের সময় জাহান আরা খানম লাকির নির্দেশে হাসপাতালের টেন্ডার, ডাক্তারি সার্টিফিকেট, অভ্যন্তরীণ বদলিসহ সবকিছুই চলতো। ডাক্তর-কর্মচারীরা ছিলেন তটস্থ। এই বিএনপি নেত্রী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকারি দলীয় স্থানীয়দের ম্যানেজ করেই আছেন বহালতবিয়তে। নড়াইলের সকলের কাছে তিনি ‘বড় ভাবি’ নামেও পরিচিত।

জাহানারা খানম লাকি শহরের আলাদাতপুর এলাকার জেলা বিএনপির বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র জুলফিকার আলী মন্ডলের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত!

অপরদিকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ফের নতুন করে খুলনা বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. স্বপন কুমার কুন্ডুকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাহান আরা খানম লাকি ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্তু হাসপাতালের রোগীদের কাছ থেকে ৯টি বিষয়ের ওপর ইউজার ফি গ্রহণ করেন। ২১ মাসের ৭০ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের ৫ চিকিৎসককে সদস্য করে গত ৭ এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৪৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ.ফ.ম মশিউর রহমান বাবু বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪টি জাল চালান এবং ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং এ ঘটনায় হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাহান আরা লাকিকে দায়ি করা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর শাকুর বলেন, ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বুধবার সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৬৫৩।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় আমরা এটিকে জিডি হিসেবে গ্রহণ করে অভিযোগটি দুদুকে পাঠিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত