ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিলার থাকলেও টিসিবি’র পণ্য থেকে বঞ্চিত কলমাকান্দাবাসী

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২১, ১১:১৫  
আপডেট :
 ০৭ মে ২০২১, ১৫:৫৯

ডিলার থাকলেও টিসিবি’র পণ্য থেকে বঞ্চিত কলমাকান্দাবাসী
ফাইল ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিলার থাকলেও চলতি রমজান মাসে পণ্য মেলেনি এই উপজেলাবাসীদের কাছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা দুর্গাপুরবাসীরা প্রতি সপ্তাহে একদিন কম দামে টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে পারলেও কলমাকান্দাবাসীরা পণ্য ক্রয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে করে এই উপজেলার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন ডিলার পণ্য তুলে বাহিরে বিক্রি করে ফেলেছে।

রমজান মাস উপলক্ষে সারাদেশের মতো নেত্রকোনা জেলাতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাকে পণ্য বিক্রির সময় বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি’র পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে ১ এপ্রিল থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে এবং যা আগামী ৬ মে পর্যন্ত চলমান রাখার ঘোষণাও দেয়া হয়। তবে বুধবার পর্যন্ত টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করতে কোন গাড়ি কলমাকান্দাতে আসেনি স্থানীয়রা এরকম তথ্য জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় কলমাকান্দায় ‘প্রাচুর্য এন্টারপ্রাইজ’ নামে টিসিবি’র ডিলার রয়েছে। এর স্বত্ত্বাধিকারী অমর দাস। তিনি উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার বাসিন্দা ও থাকেন নেত্রকোনা শহরে।

এবিষয়ে কলমাকান্দা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী মো. ফখরুল আলম খসরু জানান, ‘বারবার ডিলারকে তাগিদ দেয়ার পরেও এই রমজানে টিসিবি’র পণ্য নিয়ে কোন গাড়ি উপজেলাতে আসেনি। সন্দেহ করছি ডিলার পণ্য তুলে বাহিরে বিক্রি করে ফেলেছে। এনিয়ে ইউএনওকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি আমাকে জানান ডিলারের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতনকে জানিয়েছেন। কিন্তু রমজানে এখন পর্যন্ত টিসিবি’র পণ্য কলমাকান্দায় বিক্রি পরিলক্ষিত হয়নি।’

টিসিবি’র দুর্গাপুরের ডিলার হানিফ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘দুর্গাপুর উপজেলায় গত রবিবার পণ্য বিক্রি করেছি। সপ্তাহে একদিন ওখানে গাড়িতে করে বিক্রি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কলমাকান্দার ডিলার অমর দাস আমাদের প্রতিবেদককে জানান, ‘আগে ২০ টনের বেশি বরাদ্দ ছিল গুদামে এনে পণ্য বিক্রি করতাম। টিসিবি এখন পণ্য বিক্রিতে ট্রাক ছাড়া বরাদ্দ দেয় না। আর কলমাকান্দার জন্য বরাদ্দ দেড় থেকে দুই টন। যা ট্রাক ভাড়া করে উপজেলাতে এনে পোষানো যায় না। তিনদিনের বরাদ্দ একদিন দিলে পোষানো যেত। তাই পণ্যে জন্য চালান জমা দেয়নি। এতে ডিলারশীপ থাকা বা না থাকা কর্তৃপক্ষে ইচ্ছা।’

এনিয়ে কলমাকান্দার ইউএনও মো. সোহেল রানা জানান, ‘টিসিবির পণ্য উপজেলাবাসী পেলে কম খরচে কেনার সুবিধা পেত। ডিলারের সাথে কথাও বলেছি পণ্য উপজেলাতে এনে বিক্রির করার জন্য। ডিলার আমাকে জানিয়েছে এক সপ্তাহের পণ্য একসাথে দিলে পরিবহন খরচ পোষানো যায়। ডিলারের পণ্য না আনার বিষয়টি উর্ধ্বতনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন কর্তপক্ষ যা বিবেচনা করে।’

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত