ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ঘর পাচ্ছে আরো ১৪১ পরিবার

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২১, ২১:২৮

জয়পুরহাটে ঘর পাচ্ছে আরো ১৪১ পরিবার
ছবি- প্রতিনিধি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাটে আরও ১৪১ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার উপহার পাচ্ছে নান্দনিক ঘর। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা একটি করে ঘরের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

রোববার (২০ জুন) ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হবে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের লীলাবতি বর্মন জানান, তার স্বামী মারা গেছেন অনেক দিন আগে। কোনো ঘরবাড়ি না থাকায় সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এ অবস্থায় এমন সুন্দর একটি বাড়ি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একই এলাকার রামরাজ, দীপ্তি রানীসহ আরও অনেকে বলেন, আমরা দিনমজুরের কাজ করি। আমাদের কোনো জমি বা ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। যে আয় করি, তা দিয়ে তিনবেলা খেতে পাওয়াই অনেক কষ্টকর। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর করে দিয়েছেন। সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে ইটের ঘরে থাকতে পারবো। অনেক খুশি লাগছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জয়পুরহাটে ৫টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ঘর পেয়েছে ১৬০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। ২য় পর্যায়ে আশ্রয়ন বি প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪১ জন পাচ্ছে এই ঘর।

ইতিমধ্যে দুই শতক খাস জমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট এসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পানি ও বিদ্যুতসহ এসব ঘরে রয়েছে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও সবুজ টিনের ছাউনি। থাকছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে থাকা সরকারি ভূমি উদ্ধার ও ঘরের স্থান নির্ধারণসহ তদারকির জন্য আমরা মাঠে সবসময় কাজ করেছি।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম সোলায়মান আলী বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের বিনামূল্যে ঘর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছেন। এমন মহৎ উদ্যোগ বিশ্বের কোথাও দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, জেলার প্রতিটি ঘর আমরা পরিদর্শন করেছি। ঘরের মান অনেক ভালো হয়েছে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ঘর ও জমির দলিল উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, যেসব ভূমিহীনরা ১ম ও ২য় পর্যায়েও ঘর পাননি, আগামীতে বরাদ্দ সাপেক্ষে তাদেরও ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত