ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ

  কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ১৬:১৭

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই, ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল থেকে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।

এ কারণে সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েই চলছে এবং মাঝে মাঝে হালকা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। ঈদযাত্রা ঘনিয়ে আসছে যাত্রীসংখ্যা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাত্রীর তুলনায় দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা কম হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। দূরপাল্লার যানবাহনে অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও উল্টো চিত্র লোকাল ও ছোট ছোট যানবাহনে।

দীর্ঘ লকডাউনের পর ছুটি হওয়ায় এবার রাস্তায় মানুষ বেশি থাকবে, তাই তাদের নিরাপত্তাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তেমন যানজট না থাকলেও যানবাহনে চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। যার কারণে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চন্দ্রার পর জিরানী থেকে ইপিজেড পর্যন্ত যানজট থাকায় মাঝেমধ্যেই সেই যানজট দীর্ঘ হয়ে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।

চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় কথা হয় একতা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার খায়রুল আলমের সঙ্গে তিনি বলেন, তাদের পরিবহনের ড্রাইভার ও স্টাফগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। তবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পাবনাগামী শ্যামলী পরিবহনের ড্রাইভার জাহিদুল হাসান জানান, আমরা এক সিট ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছি। সরকার ঘোষিত ঈদের পরে দীর্ঘ লকডাউন থাকার কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়িতে ভিড় করছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফারহানা আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয়ে একদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি কারণ আগামীকাল থেকে গার্মেন্টস ছুটি দেয়ার কারণে রাস্তাঘাটে অনেক বেশি পরিবহনের চাপ থাকবে এবং জ্যাম থাকবে। তাই আগে থেকেই একটি মাইক্রো গাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি রাজশাহী যাচ্ছি।

কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর গোলাম ফারুক জানান, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানজট নেই বললেই চলে। তবে মাঝেমধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলানোর জন্য চন্দ্রা ত্রিমোড়সহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা যানজট নিরসনে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যানজট নিরসনের পুলিশ সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল টিম প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত