ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুলাউড়ায় দুর্ঘটনা

আপত্তি সত্ত্বেও রেললাইনে ওঠে সেই মাইক্রোবাস

  এম. এ. কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৬

আপত্তি সত্ত্বেও রেললাইনে ওঠে সেই মাইক্রোবাস
ছবি- প্রতিনিধি

একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে কুলাউড়ার ভাটেরায় আসে তারা। ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামের প্রবশের সময় একটি গাড়ি রেললাইন অতিক্রম করে। অন্য গাড়িটি ৯ জন যাত্রী নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয়।

রাস্তা সরু ও মাইক্রোবাস চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে প্রবেশ না করতে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে হাত দিয়ে ইশারায় আপত্তি জানান স্থানীয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু ড্রাইভার এদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে রেললাইনে উঠে পড়েন।

মাইক্রোবাসের দু’টি চাকা রাস্তা অতিক্রম করলেও পেছনের দুটি চাকা অতিক্রম করতে পারছিল না। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নেমে সটকে পড়েন ড্রাইভার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত ট্রেন এসে আটকাপড়া মাইক্রেবাসে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগামী ট্রেন প্রায় অর্ধকিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে।

এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রুলেন আহমদ। তিনি বিয়েবাড়ির বরপক্ষের আত্মীয়। এ ঘটনায় ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও আফিফ নামে ৮ বছরের এক শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছে ৭ জন। আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন কামাল মিয়া (৪০), লিলি বেগম, রিনু বেগম (১১) ও রবু বেগমসহ কয়েকজন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, হোসেনপুর এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস রেললাইন ক্রস করার সময় সজোরে ধাক্কা খায়। এ সময় ট্রেনটি প্রায় অর্ধকিলোমিটার দূরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে। পরে স্থানীয়রা মাইক্রোবাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার কাজ শুরু করেন। গাড়িতে থাকা অন্য ৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল মোল্লা, অফিসার্স ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়, ওসি (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কুলাউড়া থানার ওসি কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, দ’জন মারা গেছেন। ছয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত