ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় শারদীয় দূর্গোৎসব ২৫২ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৩

কুষ্টিয়ায় শারদীয় দূর্গোৎসব ২৫২ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে
ছবি: প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়ায় এবার ২৫২টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকায় ৫৫টি, খোকসা থানায় এলাকায় ৬৩টি, কুমারখালী থানা এলাকায় ৫৯টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকায় ২৭টি, মিরপুর থানা এলাকায় ২৩টি, ভেড়ামারা থানা এলাকায় ৯টি ও দৌলতপুর থানা এলাকায় ১৬টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র বাকি রয়েছে রঙ তুলির আচরের কাজ।

মিরপুরের সদরপুর হালদার বাড়ি পূজা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী সাধন কুমার পাল বলেন, এ বছর ১০টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। একটা প্রতিমা তৈরির জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি।

আমরা তিন জন একসঙ্গে কাজ করছি। একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগে। তবে একবারে একটি প্রতিমা তৈরি করা যায় না। কারণ কাদামাটি না শুকালে রঙ এর কাজ কারা যায় না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিমা তৈরিতে এঁটেল ও বেলে মাটি ছাড়াও বাঁশ-খড়, ধানের কুঁড়া, দড়ি, লোহা, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: জয়দেব বিশ্বাস জানান, এবার করোনাকালিন সময়ে সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

মিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সদরপুর হালদার বাড়ি পূজা মন্দিরের সভাপতি কৃষ্ণ পদ হালদার বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদ্যাপন করা হবে।

আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী মাধ্যমে দেবীর বোধন পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১৪ অক্টোবর মহানবমী, ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার সমাপ্তি ঘটবে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে মন্দির এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজা মন্দিরে র‌্যাব, পুলিশ ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশী টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত