করোনার দুই ডোজ টিকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ১১:২৭
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনতে পেরেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে এখন পর্যন্ত পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ মানুষ।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, টার্গেটকৃত জনসংখ্যাকে দুই ডোজের টিকার আওতায় আনার মাধ্যমে আমরা একটি বড় সফলতা অর্জন করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আনতে হবে। আমরা সময়সীমার চার দিন আগেই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৯০৪ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) সারা দেশে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭ হাজার ১২৭ জনকে। এছাড়াও এই সময়ে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩৬১ জনকে। এগুলো দেয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ২১৪ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৮৩৭ জনকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ১২১ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
