ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোমতী পাড়ে পানি কমলেও শুকায়নি ক্ষত

  কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ১৮:৪৮

গোমতী পাড়ে পানি কমলেও শুকায়নি ক্ষত
ছবি: প্রতিনিধি

গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া সবজি ও ফসলগুলো। ফসলি মাঠের এই বিধ্বস্ত চেহারা কলিজাছেঁড়া হাহাকার জমিয়ে দিচ্ছে কৃষকের হৃদয়ে।

গেল কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই বেড়েছিল গোমতীর পানি। ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল গোমতীর চর, বসতবাড়ি ও কৃষি জমিগুলো। এতে কুমিল্লা অংশে আদর্শ সদর, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলার চরগুলোতে চাষ করা সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, চর গুলোর প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল মুলা, ঝিঙে, ঢেঁড়স, বেগুণ ও লাউসহ নানারকম সবজি। পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন এখানকার কৃষকেরা।

বুড়িচং উপজেলার মালাপাড়া এলাকায় দেখা যায়, পানিতে ডুবে যাওয়া মুলা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। জমির কৃষকদের মুলায় ক্ষতির পাশাপাশি অভিযোগ আছে ব্যবসায়ীদেরও। আলম মিয়া নামে এক পাইকার বলেন, ‘আমি এখানে ৪০ শতাংশ জমির মুলা ৩ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। টাকা কৃষককে অগ্রীম দিয়েছি সবজি ফলানোর কিছুদিন পর। এখন জমি ডুবে গেছে। যা ক্ষতি হওয়ার আমার হলো।’

অধিকাংশ কৃষক দাবি করছেন, সবজি বিক্রির পূর্বেই তারা পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়েছেন। আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকায় কৃষক মতিন মিয়া ঢেঁড়স ও মুলা চাষ করেছিলেন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠেছে জমির ক্ষতি হওয়া সবজিগুলো।

কৃষক মতিন মিয়া বলেন, ‘এখানে যে কৃষকরা আছেন প্রত্যেকের লোন আছে। লোন নিয়ে আমরা চাষাবাদ করি। এবার পানিতে সব শেষ হয়ে গেল। এখন লোন পরিশোধ করবো কি দিয়ে। নতুন করে চাষ করতে আবার টাকা পাবো কই।’

কুমিল্লার এসব সবজি শহরে চাহিদা মিটিয়ে যেতো ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে। চরে সবজির ক্ষতির প্রভাব দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। প্রতি কেজি সবজিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০-১২ টাকা।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার থেকে কৃষি প্রণোদনা পাবো। গোমতীর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা দেবো।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত