ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

চা শ্রমিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫০  
আপডেট :
 ১৬ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫৩

চা শ্রমিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
ছবি: প্রতিনিধি

চা শ্রমিকদের দৈনিক অন্তত ৩০০ টাকা মজুরি ও ২০২১-২২ সালের চুক্তি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চা শ্রমিকদের দৈনিক ২০ কেজি চা পাতা তোলার বিনিময়ে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি ব্যবস্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন জীবনের অচলাবস্থা ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে দৈনিক অন্তত ৩০০ টাকা মজুরির দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৪-১৫ সেশনের টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শিপন বারেক বলেন, ‘বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন বিপন্ন। এখন দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে একজন মানুষের সংসার কেমনে চলবে? এই টাকা দিয়ে তিনবেলা খাবারের জোগান হবে না। তা হলে কীভাবে বাকি চাহিদাগুলো তারা পূরণ করবে? আমাদের দাবি, তাদের যাতে অন্তত ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি দেওয়া হয়।’

৩০০ টাকাও অনেক কম হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৫০০ টাকা বেতন আমাদের দাবি। তবে অন্তত যাতে ৩০০ টাকা করে তাদের দেওয়া হয়। তা হলে তারা ৩ বেলা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আমরা চাই দেশ ‌অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হোক। মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ সবাই যাতে সন্তুষ্ট থাকে।’

করোনাকালীন চা শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় যখন সবকিছু বন্ধ ছিল তখন চা শিল্প অর্থনীতিতে একক ভূমিকা রেখেছে। এই চা শ্রমিকগণ অনেক নির্যাতিত। কেউ যাতে কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এটিই আমাদের দাবি।’

সুদিপ্ত সরকার বলেন, ‘সিলেটের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ হই, সাত রঙের চা খেয়ে আমরা মুগ্ধ হই। কিন্তু তার পেছনের শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট আমরা দেখি না। এটি আমাদের হৃদয়ে দুঃখের সঞ্চার করে। কিছুদিন আগে আমি সিলেট গিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে অবাক হয়ে যাই। সেখানে নিয়ম করা আছে এক পরিবারের একাধিক সদস্য চা বাগানে কাজ করতে পারবে না। ফলে একজনের উপরই একটি পরিবারের নির্ভর করতে হয়।’

দৈনিক শুধু ১২০ টাকা দিয়ে পরিবার চালানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এত কম টাকায় তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। তবে কীভাবে এই বাংলাদেশ উন্নত হবে আপনারাই বলেন!’

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপন নাইড়ু, রঞ্জিত, রবি দাস, ‌অনন্তসহ ‌অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী তাদের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত