ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা, নিরাপত্তা চান বাবুল আক্তার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৩৩

পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা, নিরাপত্তা চান বাবুল আক্তার

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এবার কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। এতে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারকে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।

তিনি জানান, গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করেন। কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার কক্ষে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাকে মানসিক চাপে রাখতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে। জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। জেল কোড অনুসারে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১১ ধারা অনুযায়ী নিরাপত্তা বিধানের জন্য আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার। এই ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের সুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। পিবিআই হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন।

আবেদনে আসামি করা হয়, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে। আবেদনে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাবুলের অভিযোগ, গত বছরের ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নানা প্রলোভনও দেখানো হয়। এ অভিযোগের বিষয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত