ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় দুর্নীতির দায়ে কানুনগো ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:২২

কুষ্টিয়ায় দুর্নীতির দায়ে কানুনগো ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড
ছবি- প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারা-খুলনা গ্যাস সঞ্চলন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সাবেক কানুনগো রেজাউল করিম ও সার্ভেয়ার রবিউল ইসলামকে ৩ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসাথে তাদেরকে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামী রেজাউল করিম ও রবিউল ইসলাম অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধে দোষী সাবস্ত্য হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অপরাধমূলক অসদাচরণের কারণে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যেককে ক্রিমিনাল ল এমেনমেন্ট এ্যাক্টের ৯ ধারার বিধান অনুযায়ী চার লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ড প্রাপ্ত রেজাউল করিম (৫৮) মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার সাবেক কানুনগো (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ছিলেন। অপর আসামি রবিউল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কালোয়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি এল এ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রেজাউল করিম ও রবিউল ইসলাম ২০১৪ সালে ভেড়ামারা-খুলনা গ্যাস সঞ্চলন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা পূর্বক অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে লাভবান হওয়া এবং অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দ্যেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকৃত জমির শ্রেণী ধানি হওয়া সত্ত্বেও ধানি শ্রেণী মূল্য প্রদান কিংবা গ্রহণ না করে ভিটা শ্রেণী হিসেবে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ টাকা প্রদানের/গ্রহণের মাধ্যমে সরকারের ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৯ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন পূর্বক আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুনীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন দুনীতি দমন কমিশন উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল কুষ্টিয়া মডেল থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত