ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোলায় আমন কাটার উৎসব, কৃষকের মুখে হাসি

  অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৪৮  
আপডেট :
 ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৫৭

ভোলায় আমন কাটার উৎসব, কৃষকের মুখে হাসি
মাঠে মাঠে ধান কাটা চলছে। ছবি: প্রতিনিধি

কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে অবশেষে এবার ভোলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রোগ বালাই ও পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন পেয়ে লাভের আশা করছে কৃষক। এরই মধ্যে ধান কেটে তা ঘরে তোলা শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। তবে বাজারে দাম ভালো না পেলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

সরেজমিনে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে পাকা সোনালি ধানের সমারোহ। কিছু কিছু মাঠে ধান আধাপাকা থাকলেও অনেক মাঠেই এখন ধান পেকে সোনালি রূপ ধারণ করেছে। গ্রামে গ্রামে চলছে ধান কাটার উৎসব। ছড়িয়ে পড়েছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে মাঠে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আমনের বীজ রোপণের পর পর কয়েক দফায় নিন্মচাপে জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ফসল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব সংকট কাটিয়ে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। প্রকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তারা কিছুটা বিপাকে পড়েন কিন্তু ভালো ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি। এ বছর বাজার দর ভালো হওয়ায় ও মেশিনের মাধ্যমে কম খরছে ধান কাটতে পারায় তারা লাভের আশা করছেন।

ভোলা সদরের ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আবুল কাশেম বলেন, তিনি ৩ একর জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। জোয়ারের পানি আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটিয়ে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে বাজারে ভালো দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে ৫ একর জমিতে আমনের আবাদ করেছেন সিদ্দিক উল্লাহ। তিনি বলেন, ক্ষেতের ধান পেকেছে, আমরা মাড়াই শুরু করে দিয়েছি। পাইকাররা ক্ষেত থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, এবার মণ প্রতি ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি উৎপাদন খরচ পুশিয়ে লাভ হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে ভোলায় আমন চাষিরা কয়েকদফা প্রকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতির সন্মুখিন হন। সে ক্ষতি পুশিয়ে নিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। এতে তারা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করেন জেলা কৃষি বিভাগের প্রধান এই কর্মকর্তা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো। আর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ হেক্টার জমিতে। আমন ধানের ফলন উৎপাদনের লক্ষমাত্র ছিলো ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। এপর্যন্ত যে পরিমাণ ধান কর্তন করা হয়েছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত