ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫ সিটির নির্বাচন তিন ধাপে, ২৩ মে’র পর শুরু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৯  
আপডেট :
 ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৭:৫৪

৫ সিটির নির্বাচন তিন ধাপে, ২৩ মে’র পর শুরু
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৩ মে’র পর তিন ধাপে ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ধাপে ব্যবধান থাকবে ১২ দিনের। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনে এই নির্বাচন হবে।

বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য জানান। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, মে থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। কোনটা কখন হবে তখন জানাব। এইচএসসি পরীক্ষা হবে সম্ভাব্য ৭ জুলাই থেকে। সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ের তিন ধাপে পাঁচটি সিটির ভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসময় তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ভোটকেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও রাখতে চায় কমিশন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তফসিলের আগে।

কমিশন সভায় আলোচিত বিষয়:

ইসি সচিব জানান, ‘রোডম্যাপের আলোকে’ কোন কাজে কতটুকু অগ্রগতি, তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনী সীমানার খসড়া প্রকাশ, পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।

‘মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে- যে ১ লাখ ১০ হাজার মেশিনকে মেরামত করে আমরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারব। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সংখ্যাটা (ইভিএম ও আসনে) ব্যবহার হবে, তা চূড়ান্ত করতে পারব। এটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।’

অর্থ ছাড়ে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘যদি সম্মতি দেয় তাহলে পরবর্তী ধাপে আমরা জানাতে পারব আসলে কোন কোন আসনে কতটি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘সক্ষমতার বিষয়ে কমিশন সব সময় বলেছে, সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। এটার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে, এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসিনি।’

সচিব আরও জানান, আয়তনে ছোট এবং ভোটার সংখ্যা কম, এমন এলাকা বেছে নিলে বেশি সংখ্যক আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া যাবে। এলাকা বড় হলে ইভিএমের আসন কমে যাবে।

কমিশন সচিবালয় এসব বিষয়ে চূড়ান্ত করে পরে কমিশন সভায় উপস্থাপন করবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হতে আর সাড়ে সাত মাস বাকি রয়েছে। নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে কমিশন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত