ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজউকের প্রত্যেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০১

রাজউকের প্রত্যেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি
সংগৃহীত ছবি

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থাগুলো ‘চাঁদাবাজি’ করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনটির নেতারা এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ‘দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ সংস্থা বলে অভিযোগ করেন।

সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের নামে রেস্টুরেন্ট সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজউক। তাদের ব্যর্থতার জন্য আজ সারা ঢাকা শহর জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। তাদের প্রত্যেকটি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত। অভিযানের সুযোগে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন এখন চাঁদাবাজি শুরু করেছে। কিছুদিন আগে পুলিশের এসআই পর্যন্ত রেস্টুরেন্টে এসে চাঁদাবাজি করেছে। যার যেখানে সুযোগ আছে সে সেখানে চাঁদাবাজি করছে।

অভিযানে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেস্টুরেন্ট প্রসঙ্গে মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে আমাদের ৮০০ রেস্টুরেন্ট বন্ধ আছে। এর মধ্যে ২২০ থেকে ২৩০টি রেস্টুরেন্ট সরকারিভাবে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী, কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস আগে নোটিশ দিতে হয়। বিনা নোটিশে এভাবে ভাঙচুর করে, বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্টুরেন্ট। রাজউকের ‘এফ-১’ ও ‘এফ-২’–এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে, তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা জানি, কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপেও ব্যবসায়ীদের ভবনের মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রেস্টুরেন্ট শিল্পের সামগ্রিক সংকট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্সে গঠনের আহ্বান জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, আমরা টাস্কফোর্সের কথা বলেছি। তারা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অতিঝুকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করুক। বন্ধ করে দেওয়া কোনো সলিউওশন না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি কয়েকটি দাবি জানায়। তার মধ্যে রয়েছে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা, টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দিতে হবে।

পবিত্র রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ২০ মার্চ মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর সমীপে স্মারকলিপি দেবে সমিতি। ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য সারাদেশে রেস্টুরেন্ট বন্ধের কর্মসূচি দেবে সমিতি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত