ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বখাটের চাপাতির কোপে মোমিনের মাথায় ৩০ সেলাই

  জোবায়ের আব্দুল্লাহ, ফেনী

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৮, ২২:০১

বখাটের চাপাতির কোপে মোমিনের মাথায় ৩০ সেলাই

ফেনীর দাগনভূইয়া থানার সিলোনীয়া বাজারে শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে চাপাতির কোপে আহত আবদুল মোমিনের মাথায় ৩০ টিরও বেশি সেলাই করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোমিনের চাচা নয়ন। এর আগে ছোট বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের চাপাতির কোপে মারাত্মক আহত হন মোমিন। এ ঘটনার পরপরই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা ঘটনার সময় রেদোয়ান, বাবু ও মেহেদী হাসান মামুন নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সিলোনীয়া হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো রেদওয়ান নামের এক বখাটে। এজন্য পথ পরিবর্তন করে অন্য পথ দিয়ে আসা শুরু করে মেয়েটি। শনিবার সকালে সে পথ দিয়ে মেয়েটি আসতে চাইলে রেদওয়ান ও তার সঙ্গীরা তার পথ আগলে ধরে। এসময় তার চাচাতো ভাই আবদুল মোমিন বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করে। পরে রেদওয়ান ও তার সঙ্গীরা মোমিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে স্থান ত্যাগ করে। তবে বিকেলে মোমিন বাজারে আসলে হিরাপুর সড়কে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রেদওয়ান ও তার সহযোগিরা অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা চাপাতি দিয়ে মোমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ফেনীর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

সদর হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ তলার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিসাধীন আছেন। সেখানে উপস্থিত মোমিনের চাচা নয়ন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘সে (মোমিন) চোখ মেলেছে, তবে এখনও কথা বলতে পারছে না। আজ বিকেলেও তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।’

আটককৃতদের মধ্যে পুলিশ যাচাই-বাছাই করে বাবু ও মেহেদীকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আহত মোমিনের পিতা আবদুল খালেক বাদী হয়ে রেদোয়ান ও তার তিন সহযোগির নাম উল্লেখ করে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রেদোয়ান আলামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আফছারের ছেলে।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো: আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত