হোটেলে বসে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের পরিকল্পনা

বরিশালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস পরিকল্পনার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন মেয়ে রয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

আটককৃতরা হলো- এ চক্রের মুল হোতা ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল কমির বাপ্পি, শহিদুল ইসলাম সোহেল, ফাতেমা বেগম, নাজমিন নাহার মনি, এলিনা বেগম রুপা, আনোয়ার হোসেন ফকির, আহসান হাবিব হাওলাদার, জহির উদ্দিন জুয়েল, জায়েদা খাতুন ও বাদল বেপারি।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ি ছাদ, দগ্ধ ৪

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শহরের গীর্জা মহল্লা এলাকার আবাসিক হোটেল ইম্পেরিয়ালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পরিকল্পনার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে গভীর রাতে এ পরিকল্পনার মূল হোতা নগরীর সার্কুলার রোডস্থ সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি’র বাস ভবনে অভিযান চালিয়ে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়। অভিযানকালে ৩টি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্লুটুথ, ৮টি মোবাইল সেট ও নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন মাহি) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান এবং ওসি আওলাদ হোসেন মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার কাজ করতো। আর বাকীরা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্লুটুথ’র মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিতো। আর গোটা পরিকল্পনার মূল নিয়ন্ত্রকারী রেজাউল করিম বাপ্পি।

আরো খবর:

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ

গতি বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/