আবাসিক হোটেলে তরুণের লাশ: প্রেমিকা আটক
চট্টগ্রামের খুলশী থানার ফয়স লেক এলাকার 'লেকভিউ আবাসিক হোটেল' থেকে শাহরিয়ার শুভ (২৮) নামের এক যুবকের দ্বি-খন্ডিত (মাথা কাটা) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলশী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
শুক্রবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই জাফর উদ্দিন বাদী হয়ে নিহত শুভর প্রেমিকা ও কথিত স্ত্রী পপিকে আসামি করে খুলশি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত শুভর প্রেমিকা ও কথিত স্ত্রী ডাক্তার রোকসানা আক্তার (পপি) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে খুলশী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে পপি। আটক প্রেমিকা রোকসানা আক্তার মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট মেহেদী নগরের আবু আহম্মদের কন্যা। নিহত শুভ ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯ নং শুভপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের পুত্র।
নিহত শাহরিয়ার শুভর বড়ভাই জাফর বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। একটি মেয়ের সাথে আমার ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চীন থেকে দেশে এসেছে। আমার ভাই তাকে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রিসিভ করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
এদিকে নিহত শাহরিয়ার শুভর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শুভ ও পপির মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর গত ৪ বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করে। পরে পপি ডাক্তারি পড়তে চীন চলে যান। চীনে থাকাকালে পপি মিরসরাই এলাকায় অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পপির সাথে শাহরিয়ার শুভর বিরোধ শুরু হয়। মূলত শাহরিয়ারের চাপে পপি গতকাল দেশে আসতে বাধ্য হয় বলে সুত্র জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চীন থেকে পপি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছলে তাকে রিসিভ করতে শুভ তার বন্ধু নাহিদকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় যায়। শুভর বন্ধুর সাথে দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রাইভেট কার বাদ দিয়ে শুভকে নিয়ে আলাদাভাবে বাসযোগে চট্টগ্রাম আসে পপি। পরে তারা ফয়স লেকের লেকভিউ হোটেলে উঠে এবং সেই হোটেলেই রাতে খুন হয় শুভ।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তবে কৌশলগত কারণে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
