ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১

আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হয়ে উন্নয়ন বেগবান হবে। যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার সকালে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করব অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে আসবে। কারণ, একটা রাজনৈতিক দল নির্বাচন না এলে সেই দল শক্তিশালী হয় না। সেটাই আমরা আশা করি সব দল আসবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে।

দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে আগামী নির্বাচন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের যে উন্নয়নের ধারাটা সূচিত হয়েছে, আমরা মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছি, দারিদ্র্য বিমোচনের যে অঙ্গীকার করেছি। দারিদ্র্য ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আরেকটাবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আরো চার থেকে পাঁচ ভাগ কমাতে পারব। তাহলে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করতে পারব। আমরা না থাকলে কেউ করবে না।

আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, যুব সমাজকে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আজকে যুব সমাজের জন্য যে কাজগুলো করে দিয়ে গেলাম সেই ধারবাহিকতা বজায় রেখে তাদের জীবনটা যেন সন্মানজনক হয়, উন্নত হয়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমতায় বসানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছিল।

যুবসমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি ত্যাগের মনোভাব থাকে তাহলে সফল হতে পারবে। যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কি পেলাম, কি পেলাম না সেই হিসাব করবেন না, হিসাব করবেন কতটুকু জনগণকে দিলাম, দিতে পারলাম।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন তিনি। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিশ্ব ব্যাংক ‘দুর্নীতি’ খোঁজার চেষ্টা করেছে জানিয়ে বলেন, এই তদন্ত করতে গিয়ে কিছুই পায়নি। এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময় বারবার আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তদন্ত করা শুরু করে। সেই তদন্ত করতে গিয়েও তারা কিছুই পায়নি। আমাদের পরিবার ও আমার বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির বা কোনো কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন খাওয়া- কিছুই পায়নি। আমার সম্পদ দেশের মানুষ।

দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা এবং তার ছেলেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, লোভকে জয় করা আর ভয়কে জয় করা, এটা যে করতে পারবে সেই পারবে দেশ ও জাতির সেবা করতে। আর সম্পদের পাহাড় গড়লে ওই সম্পদই থাকবে। মরতে তো একদিন হবেই। কিন্তু দেশকে কিছু দিয়ে দেওয়া যাবে না। ভোগে স্বার্থকতা নেই, ত্যাগেই স্বার্থকতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করব। তরুণ সমাজ কিভাবে গড়ে উঠবে তার পরিকল্পনা আমরা দিয়েছি।

এসময় তিনি ২০৪১ এ ২১০০ সালের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, সেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তার বক্তৃতায় শেখ হাসিনার সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি এবং যুবলীগের পক্ষ থেকে নেওয়া নানা কাজের কথা উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত