ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোল পাল্টিয়ে নির্বাচনের প্রশংসায় মাহবুব তালুকদার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪২  
আপডেট :
 ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৪

ভোল পাল্টিয়ে নির্বাচনের প্রশংসায় মাহবুব তালুকদার

নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকবার ‌লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এমনকি কমিশন বৈঠকে দু’বার নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বৈঠকও বর্জন করেন তিনি। এছাড়া ভোটের কয়েকদিন আগে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে সিইসির সঙ্গে বাহাসে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সবশেষ ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনও ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের পর গণমাধ্যমে বলেছেন- বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীর এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে দেখতে তিনি পাননি।

তবে ভোটের পরই যেন ভোল পাল্টালেন তিনি। ইসির বিরুদ্ধে কথা বলে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হওয়া সেই মাহবুব তালুকদার পুরোই উল্টো কথা বললেন ভোটের পাঁচদিনের মাথায়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ‘সফল’ নির্বাচনের পর পিঠা উৎসব পূর্ববর্তী ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে’ তিনি বলেন, আমি আমার জীবন প্রারম্ভে যখন সরকারি চাকরিতে আসি, তখন বঙ্গবভবনে পাঁচ বছর সময় কাটিয়েছিলাম। চারজন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমরা সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সেটা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। আর জীবনের শেষ পর‌্যায়ের এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার আবার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, জীবনের প্রথম আমলা হিসেবে কাজ করা এবং জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই আর পাঁচ বছর আমার জীবনে গৌরব গাঁথা হয়ে থাকবে।

উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের কোনো ধারাবাহিকতা নেই কিংবা ছিল না। আমরা কখনো তত্ত্বাবধায়কর সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনো সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনো নির্বাচন করেছি দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু তা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এই প্রথম একটা অংশীদারমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। আমি মনে করি এ নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে। এই নির্বাচন ধরেই পরবর্তী ইতিহাসে যে নির্বাচনের ধারা আসবে, সেটা পরবর্তী সময়ে হয়তো ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধার মতই তিনি এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার যাদের সঙ্গে আমার প্রতিদিন দেখা হয় এবং এটা একটা আমি বলবো অপরিসীম অনুগ্রহ আমি যাদের সঙ্গে দুই বছরের কাছাকাছি সময় পার করেছি, আরো তিন বছর কাজ করতে পারবো আশাকরি এবং তাদের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, এ সম্পর্ক এতো নীবিড়, এটি কর্মক্ষেত্রে কখনো হয়নি। হওয়া সম্ভব না।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত