ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিউইয়র্ক টাইমসকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের চিঠি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৯

নিউইয়র্ক টাইমসকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের চিঠি

বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসনের ভোট’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এডিটরিয়াল বোর্ড গত ১৬ জানুয়ারি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। যার প্রতিবাদ জানিয়ে পত্রিকাটিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের চিঠিপত্র বিভাগে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাষ্ট্রদূতের ‘বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ শিরোনামের চিঠিটি প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রহসনের ভোট (সম্পাদকীয়) ঠিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার কারণ চিহ্নিত করেছে- অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নাটকীয়ভাবে দারিদ্র্য হ্রাস এবং মানব উন্নয়ন সূচকগুলো যা দেশের দ্রুত ধাবমান প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু পত্রিকাটি এই ইঙ্গিত দিয়ে ভুল করেছে যে, তার (শেখ হাসিনার) দল আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহিংসতার লাগাম টেনে ধরেছেন রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে। অধিকাংশ নির্বাচন পর্যবেক্ষকও এটাই বলেছেন।’

চিঠিতে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘গণগ্রেপ্তারের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। আগের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে নিশ্চিতভাবেই ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ।’

‘ভোটাররা সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের উভয়ই দিয়েছেন। আর এ জন্যই তার দল নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হয়েছে’ বলে এতে উল্লেখ করে তিনি।

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক টাইমস ওই সম্পাদকীয়তে বলেছিল, পুনর্নির্বাচিত হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার সম্ভবত প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু তিনি কেন সেটা করেছেন?

এতে বলা হয়েছিল, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিরামহীন ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতা, বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা থেকে শুরু করে নজরদারি ও কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ লক্ষ্য করে।

‘শেখ হাসিনা আরেক মেয়াদে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন, যেটিকে তিনি কার্যকরভাবে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন, নিয়ন্ত্রণ আরও সুদৃঢ় করতে প্রস্তুত’ এভাবে সমাপ্তি টানা হয় ওই সম্পাদকীয়তে।

ডিপি/
  • সর্বশেষ
  • পঠিত