ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

৬০ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

৬০ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ (প্রত্যয়নপত্র) নিয়েছিলেন ৬০ জন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার উদ্যোগ নিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধ কাউন্সিলের (জামুকা) ৬১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সূত্র। এ সরকারের আমলে এটি জামুকার প্রথম সভা।

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়ে দেড় লাখ আবেদনকারীকে যাচাই-বাছাইয়ে ২০১৭ সালে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই আবেদন আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ফের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে নতুন করে যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলে (জামুকা) প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্থানীয় এমপি মুক্তিযোদ্ধা হলে তিনি অথবা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার যাচাই-বাছাই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তি বার্তায় তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০১৭ সালে উপজেলা ও মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি যেসব প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল, জামুকার সভায় তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি কোনো কোনো উপজেলায় এক-দেড়শ' গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও সেখানকার কমিটি নতুন করে তিন-চারশ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করেছে। এগুলো আমাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, জামুকার সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেসব উপজেলা কমিটি ১০ ভাগের নিচে সুপারিশ পাঠিয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হবে। এ জন্য নতুন করে উপজেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই সংশ্নিষ্টদের চিঠি পাঠানো হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের কথা বলেছিলেন। যদিও নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তখনও জামুকার পর্ষদ গঠন করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সংশ্নিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরে মন্ত্রী ফের ঘোষণা দিয়ে নিশ্চিত করেন আইনি জটিলতায় ২৬ মার্চের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

জামুকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাতিলসহ এ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সংস্থাটি। বিধি অনুসারে পদাধিকারবলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামুকার উপদেষ্টা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত