মাদকাসক্ত ছেলের হাতে শিক্ষিকা মা ও নানি খুন (ভিডিও)
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৩৮ আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪২
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মাদকাসক্ত যুবকের হাতে মা ও নানি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার নওদা গ্রামে এই দুজনের ওপর হামলা চালানো হয়। শুক্রবার ভোর চারটায় যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহত দুই নারী হলেন মর্জিনা বেগম (৪৫) ও শামসুন নাহার (৮০)। মর্জিনা বেগমের ছেলের নাম ইমরান হোসেন (২৬)। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নওদাগ্রাম গ্রামে। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে মর্জিনা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে মা শামসুন নাহারের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে নওদা গ্রামে থাকতেন তিনি। মহেশপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কারিগরি বিষয়ের শিক্ষিকা (ল্যাব সহকারী) হিসেবে কর্মরত ছিলেন মর্জিনা। ঘাতক ইমরানকে খুঁজছে পুলিশ।
এলাকাবাসী বলছে, ইমরান মাদকাসক্ত। টাকার জন্য প্রায়ই সে মাকে মারধর করতো। নেশার টাকা না পেয়েই সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মর্জিনা বেগমের ভাই পল্লি চিকিৎসক কুদরত আলী বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ইমরান নেশাগ্রস্ত ছিলেন। নেশার কারণে মানসিক ভারসাম্যও কম ছিল তার। তিনি বাড়িতে থাকতেন না। মর্জিনা বেগম ও শামসুন নাহার এক বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রান্নাঘরের টালি খুলে ইমরান ঘরে প্রবেশ করে মা ও নানিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ইমরান দৌঁড়ে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত মর্জিনা ও শামসুন নাহারকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ভোর চারটার দিকে তারা মারা যান।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে ইমরান তার মায়ের কাছে টাকা চায়। তা না পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে নানি শামসুন নাহার কুপিয়ে আহত করে সে। এতে তার মা মর্জিনা বাধা দিতে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে সে পালিয়ে যায়। ইমরান মানসিক বিকারগ্রস্থ। এর আগে পাবনা মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয়, সে বছরে ইমরান হোসেন তার দাদাকে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকে দুই দফা পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহত মা–মেয়ের লাশ যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ভিডিও...