৯৯৯- এ ফোন করে উদ্ধার হলেন গণধর্ষণের শিকার নারী

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাগনিকে খুঁজতে এসে গণধর্ষণের শিকার এক নারী (৩২) ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে উদ্ধার করে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বুধবার রাত ৮টার দিকে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম কড়াই বরিশাল চরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে ধর্ষক রঞ্জু ও জেলহক মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাপমাত্রা মোকাবিলায় যা করছে হিট অফিসার

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষনের শিকার ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ সুপার নিজে ওই দিন রাতে অভিযান চালান। এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক দু’জনকে হাতে নাতে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে চিলমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারীসহ ৪ জন স্বজন পালিয়ে আসা ভাগনিকে খুঁজতে আসে। এর আগে তারা খবর পেয়েছিলেন যে ভাগনি পালিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সদর থানার কড়াই বরিশাল চরে এসেছে। রাত ৮টার দিকে তারা ওই চরে এসে পৌঁছান।

এ সময় তাদেরকে সহযোগিতা করার নাম করে ধর্ষক রঞ্জু বাকি ৩ স্বজনকে ঘাটে অপেক্ষা করতে বলে, নির্যাতিতা ওই নারীকে একাই ভাগনিকে খুঁজে দেয়ার নাম করে খোলা চরে নিয়ে যায়। সেখানে নৌকার মাঝিসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মোবাইলে আরও দুই সহযোগীকে ডেকে আনে ধর্ষক রঞ্জু।

পরদিন ভোরে ৯৯৯ নম্বরে সহযোগিতা চেয়ে পুলিশকে ফোন করে নির্যাতিতা ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রঞ্জু ও নৌকার মাঝি জেলহককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।