ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৯, ১৫:৩৯

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল (১৮) ও তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮) তারা একে অন্যকে ভালবাসতো। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ককে সমাজ ও পরিবার মেনে নেয়নি। কারণ ছেলেটি ছিল হিন্দু আর মেয়েটি মুসলিম পরিবারের। প্রেমে সফলতার কোনো সম্ভাবনা না দেখে শেষমেষ একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে এই তরুণ প্রেমিক যুগলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে স্থানীয়রা রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সড়কের বরগাং এলাকায় হ্রদের পানিতে দুইটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে প্রথমে তরুণীর এবং পরে তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে।

হিমেল রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ছোটন দেওয়ানজির ছেলে। আর তিন্নি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের মেয়ে।

জানা গেছে, হিমেল ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং তিন্নি রাঙ্গামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ছেলেটির বাসা রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভবাজার এলাকায় এবং মেয়েটি রাঙ্গামাটিতে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশুনা করছিলো।

রাঙ্গামাটির কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েই আত্মহত্যার ঘটনা। প্রেমের কারণেই এটি ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দুইজন দুই ধর্মের হওয়ায় প্রেমে সফলতার কোনো সম্ভাবনা না দেখে তারা আবেগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।

হিমেলের বাবা ছোটন দেওয়ানজী জানিয়েছেন, তারা দুই জন প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা আসলে কিছুই জানতাম না। ভেবেছিলাম কোনো কারণে ছেলে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু কেনো এটা করলো বুঝতে পারছিনা।

অন্যদিকে মেয়েটি তার যে স্বজনের বাসায় থেকে পড়াশুনা করতো সেই নুরুল আলম মিয়া বলেন, সে আমার বাসায় থেকে পড়াশুনা করতো। কিন্তু কিসের মধ্যে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত