ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মশার ওষুধ কেনাকাটায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখবে দুদক

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪০  
আপডেট :
 ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৫

মশার ওষুধ কেনাকাটায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখবে দুদক

মশক নিধনের ওষুধ কেনাকাটার ৪ বছরের হিসাব জানতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মশার ওষুধ কেনায় কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পরে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল উত্তর সিটি করপোরেশন অফিসে অভিযান চালায়।

জানা যায়, দেশব্যাপী ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এডিস মশা ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব। এমন প্রেক্ষাপটে দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন নম্বর ১০৬) অভিযোগ আসে, সিটি করপোরেশনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মশা নিধনের ওষুধ আমদানিতে সিন্ডিকেট করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ওষুধ আমদানি করেছে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম রোববার এ অভিযান পরিচালনা করে।

অনুসন্ধানে দুদক টিম দেখতে পায়, বিগত বছরগুলোতে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট কেবল কিউলেক্স মশা নিধনের পরীক্ষা সম্পন্ন করে কীটনাশক পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। দুদক টিম ২০১৯-২০ অর্থবছরে মশা নিধনের ওষুধ কিনতে এডিস মশার ওপর পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

অথচ গত ৪ বছর দ্য লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান থেকেই এককভাবে ইনসেক্টিসাইড সরবরাহ করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিকোন লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ বিক্রির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দুদক টিম ২০১৫-২০১৯ সালের কার্যাদেশ প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করে এবং এ ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা বিশ্লেষণপূর্বক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত