ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংসদে বিমান প্রতিমন্ত্রী

খেলনা বিমান উড্ডয়নে আকাশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:১১

খেলনা বিমান উড্ডয়নে আকাশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে

সংসদে বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, সাম্প্রতিক কিছু উৎসাহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি-ইউএএস), রিমোট কন্ট্রোল বিমান অথবা খেলনা বিমান উড্ডয়ন করছে। পাশাপাশি অনুমোদিত দেশী-বিদেশী বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমান চলাচল করছে। ফলে অননুমোদিত উড্ডয়নকারী এসব ড্রোনের সঙ্গে যেকোনো সময়ে আকস্মিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তবে, এখনো ড্রোনের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়নি। সারা বিশ্বের কাছে এটি নতুন একটি আবিষ্কার।

বৃহস্পতিবার মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী সংসদে ওই তথ্য উপস্থাপন করেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনি এ অধিবেশন শুরু হয়।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (বিপম), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থা কাজ করছে। যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ড্রোনের আকার, রেজিস্ট্রেশন ও উড্ডয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মন্ত্রী আরো বলেন, নীতিমালা প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের কাছে ড্রোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা করা যায়।

এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, চোরাচালান বন্ধের জন্য বিমানের সকল স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন সাপেক্ষে সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এখানে কর্মরতদের অফিসে প্রবেশ ও ত্যাগের প্রাক্কালে দেহতল্লাশী করা হয়। অবৈধ কোন জিনিস পেলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ মিললে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিমানকে লাভজনক করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অটোমেশন করা হয়েছে, যার মধ্যে পুরোপুরি অটোমেশন করা হয়েছে বিমানের টিকিট বিক্রিকরণে, বিমান অবতারণের ২০-৬০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগেজ বেল্টে পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটের যাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমানের লাভ হয়েছে ২৭২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত