ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জমি জবরদখল করে উল্টো মামলা!

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৬

জমি জবরদখল করে উল্টো মামলা!

রাতের আঁধারে জোরপূর্বক জমি দখল করে দখলবাজরা উল্টো হয়রানিমূলক মামলা করেছে নিরীহ এক পরিবারের বিরুদ্ধে। কেবল মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মোক্তার আহম্মেদ নামের ওই ভুক্তভোগী।

ঘটনাটি সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের আমিন বাজারে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে স্থানীয় জিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে এক শতাংশ জমি কেনেন সুজায়েত উল্যা নামে এক ব্যক্তি। ২০০২ সালে ওই জমি তার কাছ থেকে দোকানঘরসহ কিনে নেন মোক্তার আহম্মেদ। এরপর থেকে ওই সম্পত্তি তিনি ভোগ দখল করে আসছেন।

এদিকে স্থানীয় বাজারের ওই জমি ও দোকানঘরটি মূল্যবান হওয়ায় চিহ্নিত দখলবাজ তোফাজ্জল হোসেনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। ক্রয়সূত্রে ওই সম্পত্তির সর্বশেষ মালিক মোক্তার আহম্মেদের সাথে বিভিন্ন অজুহাতে বিবাদ সৃষ্টি করে চলছেন তিনি। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া ও প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে মোক্তার আহম্মদের পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছেন তোফাজ্জল হোসেন ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।

গত ১৮ মে গভীর রাতে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় দখলবাজ দোকানসহ জমিটি জবর দখল করে নেন। এ সব বিষয়ে মোক্তার আহম্মেদ ২৬ আগস্ট পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্বভার দেন।

ভুক্তভোগী মোক্তার আহম্মেদর ছেলে আসলাম মোরশেদ বলেন, সাফকবলা দলিলমূলে আমার বাবা জমিটি কেনন। ওই জমির ওপরে নির্মিত দোকানঘরটি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছি আমরা। কয়েকমাস আগে পুরাতন ভাড়াটিয়া দোকানঘরটি ছেড়ে দিলে আকস্মিকভাবে রাতের অন্ধকারে জমিটি জবর দখল করে নেন তোফাজ্জল। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় প্রবাসে অবস্থানরত আমার ভাই খোরশেদ আলমকেও জড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, দখলবাজ সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রাণনাশসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা জমি ও দোকানের দখল হারিয়েও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে জানান, ক্রয়সূত্রে উক্ত জমির মালিক আমি। ক্রয়ের পর থেকে এখানে দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছি। একই জমির মালিকানা দাবি তুলে মোক্তার হোসেন গং বিতর্ক সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী প্রকৃত মালিক যিনি তিনিই জমিটির ভোগদখলের অধিকারী হবেন।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, মোক্তার আহম্মেদ ওই জমির ক্রয় সূত্রে মালিক। তিনি বিগত কয়েক বছর থেকে ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি তোফাজ্জল হোসেন রাতের আঁধারে জমিটি দখল করে নেন।

তারা আরো জানান, তোফাজ্জল হোসেন এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছেন। তার এক আত্মীয় যুবলীগ নেতা হওয়ায় তিনি এলাকার লোকজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মীমাংস্যার জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত