ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২০

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার রাতে উপজেলায় কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ।

জানা যায়, এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া, প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় টাকা নেয়া, নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সোমবার বিকালে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় বসেন শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

এ সময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

এ ব্যাপারে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন জানান, এলাকার কিছু লোকজন ও প্রাক্তন ছাত্ররা মিলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আন্দোলন করছে।

শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ে যান। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে মাদারীপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সহায়তায় রাতে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত তিন দিন ধরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। সোমবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে নিয়ে এলাকায় যাই। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সমোঝতা করার চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রশাসনের আশ্বাস মেনে নেয়নি।

এর আগে গত শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় বিষয়টি ‘দেখার’ আশ্বাস দেন প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিকালে ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত