ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষককে বাঁচাতে ধর্ষিত ছাত্রীকে গ্রাম ছাড়া

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৯, ১১:৫৫

ধর্ষককে বাঁচাতে ধর্ষিত ছাত্রীকে গ্রাম ছাড়া

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধর্ষককে বাঁচাতে স্কুলছাত্রীকে গ্রামছাড়া করেছে ইউপি সদস্য ও এক আওয়ামী লীগ নেতা। ধর্ষক রাম প্রশান্তকে বাঁচাতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গ্রামছাড়া করেছে মাতব্বররা। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশে উভয় পক্ষকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে পারখী ইউপি সদস্য কুদ্দুস আলী ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি খসরু মিয়া।

জানা গেছে, ধর্ষক রাম প্রশান্ত প্রভাবশালী। সে পূর্ববাসিন্দা গ্রামের হতদরিদ্র স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মেয়েটির ফুপাতো বোনের ঘরে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফুপাতো বোন ওই স্কুলছাত্রীর গর্ভপাত করতে কৌশলে ওষুধ খাওয়ায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ২ মে রাতে ইউপি সদস্য কুদ্দুস আলীর সভাপতিত্বে সাদেকের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ইউপি সদস্যের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা খসরু মিয়া ধর্ষক রাম প্রশান্তকে আড়াই লাখ ও বাচ্চা নষ্ট করার দায়ে মেয়েটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে।

তারা মেয়েটিকে গ্রামছাড়া করে অন্যত্র রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। সাইফুল ও খসরু মেয়েটির পরিবারকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপ দেয়। নইলে জরিমানার টাকা দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কুদ্দুস, তার ছেলে সাইফুল ও খসরু মিয়া টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

তাদের বক্তব্য, চেয়ারম্যানের নির্দেশে সালিশ করেছি। তবে তারা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে। পারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত তালুকদার জানান, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানা নেই।

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কালিহাতী থানার ওসি নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত