মাছের ঘেরে হাত ও মুখ বেধে স্কুলছাত্রীর সর্বানাশ

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি গ্রামে ওমর খানের মাছের ঘেরের একটি ঘরে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর হাত-মুখ বেধে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে মাছের ঘেরের কর্মচারী আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট গ্রামের আয়নাল বয়াতির ছেলে নুর ইসলাম বয়াতি ও কোটালীপাড়া উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের আলী আকবর খানের ছেলে তরিকুল ইসলামকে আটক করে।

শুক্রবার দুপুরে ছাত্রী বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। বিকেলে আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল।

দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়িতে পালিয়ে বাঁচলেন তরিকুল

ছাত্রীর মা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার বাড়ির পাশেই দেবরের বাড়িতে হাঁস মুরগীর ঘরে তালা দেওয়ার জন্য মেয়েকে পাঠাই। রাত হয়ে গেলে মেয়ে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওমরের মুরগীর খামারের নিচে পানির মধ্যে খুঁটির সাথে বেধে রাখা অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি। এরপর বিষয়টি উজিরপুর থানায় জানাই।

ছাত্রী জানায়, অভিযুক্তরা প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে নুর ইসলাম ও তরিকুল জোরপূর্বক ঘেরের ঘরে এবং নৌকার মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষণের পরে পানির মধ্যে নামিয়ে মুরগীর খামারের খুঁটির সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তার মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীর দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে