ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জবির বাঁধন কমিটির অনিয়ম ঠেকাতে রড নিয়ে সভাপতি

  জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০২

জবির বাঁধন কমিটির অনিয়ম ঠেকাতে রড নিয়ে সভাপতি

গঠনতন্ত্র না মেনে পকেট কমিটি এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয় (জবি) বাঁধনের পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে ২০২০ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে ২০১৯ এর কার্যনির্বাহী কমিটি।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২০১৯ কমিটির সভাপতি নিয়াজ শরীফ টুটুলের সভাপতিত্বে ২০২০ কমিটি অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ২০১৯ কমিটি বাঁধন ইউনিট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন ২০১৯ কমিটির কার্যনির্বাহী ও সাধারণ কর্মীরা।

এদিকে কমিটি নিয়ে অফিস কক্ষে তালা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা গেছে। বাঁধনের ২০২০ সালের কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোতাহের হোসেন মজুমদারকে। ছবিতে দেখা যায়, বাঁধন অফিসে তালা অবস্থায় এর সামনে রড হাতে অবস্থান করছেন তিনি। আর চারপাশে অপর পক্ষের কিছু কর্মী দাঁড়িয়ে আছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ইউনিটের ২০২০ কমিটি নিয়ে মতবিরোধ হয়ে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিত্রে নতুন কমিটির একটি বড় অংশ এবং ২০১৯ সালের কমিটির একটি বড় অংশ এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে আসছিল। অনুসন্ধানে জানা যায়, জবি বাঁধন ইউনিটের ২০২০ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয় । ছাত্র উপদেষ্টা মকবুল হাসান সোহান, আমিনুল হক রবিন ও আক্তারুজ্জামান আতিকের বিরুদ্ধে সরাসরি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

২০২০ কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি, দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ন না করা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে কর্মীদের পক্ষ থেকে সভাপতি প্রধান শিক্ষক উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং এ বিষয়ে সেন্ট্রাল ও জোনকেও জানানো হয়।

জবি বাঁধন ইউনিটের সমস্যা সমাধানে সেন্ট্রালের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেই কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। আবার শিক্ষক উপদেষ্টারা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও জবির ইউনিটের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। গত সোমবার বাঁধন কর্মীদের উভয় পক্ষের সঙ্গে শিক্ষক উপদেষ্টা বসেও কোনো সমাধান করতে পারেননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ২০১৯ কমিটির সভাপতি নিয়াজ শরীফ বলেন, সাবজেক্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি গঠিত কমিটিতে দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ণ না করা এবং কমিটি গঠনে অনিয়ম করায় ২০১৯ কমিটির কার্যকরি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতিক্রমে ‘কার্যকরি পরিষদ ২০২০’ পাস করা হলো না। পরবর্তি কার্যকরি পরিষদ গঠন না করা পর্যন্ত ২০১৯ কমিটি অফিস পরিচালনা করবে।

তিনি আরো বলেন, অফিসের নিরাপত্তার জন্য আগে ব্যবহারিত দুটি পুরাতন তালা পরিবর্তন করে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, কারা যেন বাঁধনের অফিসে তালা লাগিয়েছে আমরা জেনেছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে রড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত