ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

উপাচার্যের সাথে আলোচনা: কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিন্ধান্ত

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪৯

উপাচার্যের সাথে আলোচনা: কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিন্ধান্ত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসার মু. আবুল কাশেমের সাথে আলোচনার পর প্রশাসনিক কর্মবিরতি থাকা ১৭ কর্মকর্তা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিন্ধান্ত নিয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি বাসভবনে কর্মবিরতিতে থাকা প্রশাসনিক দায়িত্বরত শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক বসেন উপাচার্য।

উপাচার্য ও শিক্ষকদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার।

তিনি বলেন, ভিসি স্যারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিলো সেগুলো সমাধান হয়েছে। এরপর আমরা ভিসি স্যারকে আমাদের সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হককে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে পুনঃবহালের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

আজকের আলোচনা সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম জানান, তাদের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে এবং যে ভুল বোঝাবুঝি ছিলো সেটা সমাধান হয়েছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

উপাচার্য বলেন, তারা ডা. ফজলুল হককে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে পুনঃবহাল করার অনুরোধ করেন। আমি কিছু বলেনি, শুধু বলেছি চিন্তা-ভাবনা করে দেখবো কি করা যায়। আর একাডেমিক কাউন্সিল করার জন্য সদস্য সচিব হিসেবে একজন রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজন। সে কারণে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রফেসর রাজিব হাসানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে হাবিপ্রবির উপাচার্য ড. মু. আবুল কাসেম প্রশাসনিক ভবনে অফিস না করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. বিধান চন্দ্র হালদারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ১৫/২০ জন শিক্ষক গত ৬ অক্টোবর দুপুরে সমস্যা থেকে উত্তরণে আলোচনা করতে উপাচার্যের বাসভবনে যান। তবে উপাচার্য দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার মোবাইলে সাক্ষাতের অনুরোধ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন বলে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ অভিযোগ করেন।

ওইদিন মূল ফটকের সামনে প্রশাসনের দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের 'উদ্ভট আচরণের' জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত