ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ায় ১১ বছরের হাসান!

ইঞ্জিনিয়ারদের পড়ায় ১১ বছরের হাসান!

বয়স মাত্র ১১। পড়ে ক্লাস সেভেনে। আর এই বয়সেই কিনা ক্লাস নেয় বি টেক, এম টেকের শিক্ষার্থীদের।

ক্লাস সেভেনের এক ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের পড়াচ্ছে, এই ঘটনায় অবাক সবাই। অবাক হাসানের শিক্ষকরাও। তবে এই বালক যে অঙ্কে অত্যন্ত পাকা তা স্বীকার করেছেন তারাও।

ভারতের হায়দরাবাদ শহরের এই বালককে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। এই বিস্ময় বালকের নাম মুহম্মদ হাসান আলি। নিজের পড়ার পাশাপাশি ছাত্রও পড়ায় সে। ডিজাইনিং, ড্রাফটিং কোনও কিছুই আটকাচ্ছে না তার। সব কিছুতেই সে সমান পারদর্শী।

বয়স মাত্র ১১ হলে কী হবে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অঙ্ক সহজেই করে ফেলে সে। কম্পিউটারের সব কাজ নখদর্পনে। তাই বয়সে বড় ছাত্রদের খুব সহজ করে কঠিন অঙ্ক বুঝিয়ে দেয় এই খুঁদে শিক্ষক।

সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্কুল শুরু। স্কুল শেষে দুপুর তিনটে নাগাদ বাড়ি ফিরে নিজের হোম ওয়ার্ক করে পাঁচটা পর্যন্ত। তারপর কোচিংয়ে গিয়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ছাত্রদের পড়ায় হাসান। রাতে বাড়ি ফিরে নিজের পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এই তার প্রতিদিনের রুটিন।

যদিও পড়ানো তার পেশা নয়। শখ করেই বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের অঙ্ক করায় সে। সেজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও বেতন নেয় না হাসান। এ সম্পর্কে হাসানের বক্তব্য, ‘আমি আমার ছাত্রদের কাছ থেকে সাম্মানিক নিই না। আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমার বাবা-মা আমাকে সব সময় সাহায্য করেন।’

হাসান চায়, বিদেশে নয়, ইঞ্জিনিয়াররা যেন এদেশেই চাকরি করে। তার কথায়, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক এগিয়ে মেধায়, শুধু পিছিয়ে টেকনিকে আর জনসংযোগে। ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তারা চাকরি পায় না অনেক সময়।’

হাসান আরো জানায়, ‘আমার পছন্দ ডিজাইনিং। আমি নিজেও শিখি, অন্যদেরও শেখাই।’ প্রায় ৩০ জন সিভিল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং পড়ায় সে।

একটা লক্ষ্যও আছে হাসানের। ২০২০ সালের মধ্যে ১ হাজার জন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে পড়াতে চায় হাসান। হাসানের এক বি টেক গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী জানান, ‘এত ভাল ভাবে ডিজাইনিং পড়াতে খুব কম জনকেই দেখেছি।’

হাসানের পরিবারের প্রত্যেকেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা, মা, চাচা, চাচী সবাই শিক্ষক। তাই ছোটবেলা থেকেই পড়ানোর নেশা হাসানের। মাত্র এগার বছর বয়সেই পাকা শিক্ষক হয়ে গেছে সে। হাইস্কুলের ছাত্র হয়ে পড়াচ্ছে বিএ, এমএ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত