ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

পিইসি পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ১৯:১৪

পিইসি পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পিএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরিক্ষাকে অধিকতর যুগোপযোগী করে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বোর্ড গঠনের বিষয় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪) এর ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৫ বছর মেয়াদী উন্নয়ন কমূসূচির ডিপিপি মোতাবেক ৩য় বছরে অর্থাত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ও অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ জারি করা হয়েছে।

মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, রিচিং আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেউজ-২ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৫৮টি উপজেলায় ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ১৯১৬টি শিখন কেন্দ্রে ৩৬৮৭২ জন শিক্ষার্থী এবং ১০টি সিটি কর্পোরশেনে ৩২৫টি কম্পাউন্ডে ১৫১৮টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৯৭৩২জন বস্তিবাসী শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।

বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়া রোধে স্কুল বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। পড়ার উপযোগী পরিবেশ আরো আকর্ষণীয় করে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত চালু ছিল। সমগ্র বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করায় শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য সারাদেশে ১০০০টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত