ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেতন বৃদ্ধির দাবি: প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও দাবি না মানলে ১ অক্টোবর থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এসময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে (১২৫০০) টাকা ও সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে (১০২০০) টাকা পান। ২০০৬ সালে বেতন স্কেল আপগ্রেড এবং ২০১৪ সালে বেতন ও পদমর্যাদা বাড়ানোর ঘোষণায় স্কেলের পার্থক্য দাঁড়ায় তিন ধাপ। ২০১৫ সালের ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে এ ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩শ’ টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেডের নতুন প্রস্তাব পাঠানোর দাবি জানাই।

এতে বলা হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবির বাস্তবায়ন না হলে স্কুলে তালাসহ লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বিকাল ৩টা থেকে ১ ঘণ্টা মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মানবন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি নিয়ে পদযাত্রা করা হবে।

সংগঠনের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে আছে, শিক্ষকদের মানসম্মত বেতন স্কেল দেওয়া হবে। আমাদের এ দাবি যতদিন মেনে নেওয়া না হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো। স্কুল তালাবদ্ধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি শুরু হবে।

উল্লেখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য কমানোসহ গ্রেড উন্নীতকরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা নাকচ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ ও সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২তে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।’ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।

বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে পাঠদানের কাজ করেন সহকারী শিক্ষকেরা। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা স্কেলে। (কোর্টের রায় অনুসারে যেহেতু বকেয়াও পাবেন)। এছাড়া সহকারী শিক্ষকেরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা স্কেলে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত