ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে ‘ভিসির নির্দেশে’

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৮

গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে ‘ভিসির নির্দেশে’
ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসির নির্দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সদ্য পদত্যাগ করা সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবির।

রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরাসরি ভিসি খোন্দকার মো. নাসির উদ্দিন ও প্রশাসনের কাছ থেকে এ হামলার নির্দেশ এসেছে।

মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যাতে ভেতরে আসতে না পারে সেজন্য প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে যারাই ভেতরে আসবে, তাদের যে কোন মূল্যে ফেরাতে হবে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দা, লাঠি, যত ধরনের দেশি অস্ত্র আছে সেগুলো দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মেরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেই ছিলাম। যখন বৈঠকটা হয় তখন আমি তার প্রতিবাদ করেছি যে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। তারা আমার কথা মানে নাই। এই কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভিসি খোন্দকার মো. নাসির উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দিতে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন ওই শিক্ষক।

এদিকে একটি বেসরকারি চ্যানেলে টক শো’তে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবেও ভিসি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আপনার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করানোর অভিযোগ উঠেছে? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, আমি বাসায় ছিলাম। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। আমার আয়ত্বের বাহিরে। তাই আমি হামলা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে পারিনি।

এ সময় ভিসি ড. খোন্দকার মো. নাসির উদ্দিন আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানতুল্য তাদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছি। তাদের ওপর হামলার প্রশ্নই ওঠেনা। এ ধরণের কোন বৈঠক হয়নি। এ ব্যাপারে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে লেখার জেরে ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। উপাচার্য বহিষ্কারাদেশ তুলে নেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত