ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নন-এমপিও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর জরুরি বৈঠক

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০৮  
আপডেট :
 ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৩

নন-এমপিও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক

দেশের সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে শনিবার (১৯ অক্টোবর) পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) থেকে আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা দেয়া হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে ফোনালাপের পর সে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা জানান, আজ রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে নন-এমপিও শিক্ষক নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের সাক্ষাতের সুনির্দিষ্ট তারিখ না পেলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, নীতিমালা ২০১৮ পরিশিষ্ট ‘খ’-এ নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ১৫০জন।

কিন্তু ‘খ’ এ নিম্ন মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল চাওয়া হয়নি। তাহলে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো কোন মানদণ্ডে এমপিও করা হবে, বিষয়টি আমাদের নিকট স্পষ্ট নয়।

পরিশিষ্ট ‘ক’ এ (৬ষ্ঠ-১০ম) শ্রেণি পর্যন্ত সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে শহর পর্যায়ে ৩শ’ জন এবং মফস্বলে ২শ’ জন। আবার বালিকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে শহরে ২শ’ জন, মফস্বলে ১শ’ জন।

কিন্তু পরিশিষ্ট ‘খ’ এ উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন। যদি ২শ’ জনে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হয় সে অনুযায়ী আনুপাতিক হারে ১৫০ জনে ২৬ জন এবং ১শ’ জনে হতে হবে ১৩ জন।

পরিশিষ্ট ‘খ’ কলেজ (উচ্চ মাধ্যমিক) শহর সহশিক্ষায় (১১-১২) ২শ’ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৬০ জন আবার নারীশিক্ষায় ১৫০ জন এ পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৬০ জন। ২শ’ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬০ জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হলে ১৫০ জনে ৪৫ জন হবে। মফস্বলে সহশিক্ষা ১৫০ জন শিক্ষার্থীতে পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন। নারী শিক্ষায় ১২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে চাওয়া হয়েছে ৪০ জন পরীক্ষার্থী। ১৫০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হলে ১২০ জনের ক্ষেত্রে হবে ৩২ জন।

পরিশিষ্ট ‘খ’ স্নাতকে (১১-১৫) তে সহশিক্ষায় শহরে ২৫০ জন শিক্ষার্থীতে পরীক্ষার্থী ৬০ জন পরীক্ষার্থী কিন্তু এখানে স্নাতক শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৫০ জন। কিন্তু পরীক্ষার্থী ৬০ জন, যা সম্পূর্ণ অসংগতিপূর্ণ।

আবার নারী শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ১৫০ জনের ডিগ্রী স্তরে শিক্ষার্থী ৩০জন এর বিপরীতে ৪০জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে এবং এইচএসসি বিএম স্তরে প্রতি ট্রেডে শিক্ষার্থী ৩০ জনের বিপরীতে ৪০জন পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

অনুরূপভাবে মাদরাসা, কারিগরি ও বিএম কলেজে উল্লেখিত সমস্যাগুলো ২০১৮ এমপিও নীতিমালায় বিদ্যমান। আমাদের জানামতে আবেদন চাওয়ার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের জাতীয় হার ৭০ শতাংশর নিচে ছিল। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র স্তর এমপিও’র নামে শিক্ষক এমপিও’র পরিবর্তে প্রতিষ্ঠান এমপিও অপকৌশল বলে তারা উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, একযোগে দেশের পাঁচ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ও হস্তক্ষেপ কামনা করে গত ১৪ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলেও প্রেস ক্লাবের কাছেই কদম ফোয়ারার সামনে মিছিলের গতিরোধ করে পুলিশ। সেখান থেকে ফিরে এসে তারা ফের প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।

জানা গেছ, আজ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠকের পর নতুন সিদ্ধান্ত জানাবেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত