ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকদের জন্য সভাপতির ‘টর্চার সেল’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:২০  
আপডেট :
 ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৩৯

শিক্ষকদের জন্য সভাপতির ‘টর্চার সেল’
শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার জাহান

রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে আওলাদ হোসেনের অপসারণ ও নতুন সভাপতি মনোনয়ন দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছেন। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শত শত শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবক এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

শিক্ষকরা জানান, ‘নিজের টর্চার সেলে নিয়ে শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সভাপতি। কথায় কথায় বরখাস্ত করেন শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সভাপতি।’

এ সময় সভাপতি আওলাদ হোসেনের ‘টর্চার সেলে’ শিক্ষক নির্যাতনের ভায়বহ বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতিতরা।

ওমর ফারুক নামে এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার বাবা নাই। শুয়োরের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা বলে গালিগালাজ করে। প্রত্যেকটা টিচারকে সে গালিগালাজ করে। টর্চাল সেল একটা বানাইছে স্কুলে। ঢুকার সময় মনে হবে জান্নাতে প্রবেশ করছেন, বের হবার সময় কেঁদে বের হতে হয়। কেউ ঢুকতে পারবে না সেখানে। আমাকে দুই দুইবার সে সাসপেন্ড করেছে। বিনিময়ে টাকা চাইছে। সে হুমকি দিছে সে আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সাবেক নেতা। সে বলছে টাকা দিলে তোর চাকরি থাকবে। আমার একমাত্র অবলম্বন এই চাকরি, যার কারণে টাকা দিছি।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজের ছবি প্রকাশ হয়েছে দাবি করে এক হিন্দু শিক্ষক বলেন, ‘আমাকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে তার টর্চার সেলে। আমাকে মালাউনের বাচ্চা বলে ভারত চলে যেতে বলেছে। আমি প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে আওলাদ হোসেনের পদত্যাগ চাই।’

সেলিনা আক্তার জাহান নামে আরেক শিক্ষক বলেন, ‌‘আমি ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি। সে (সভাপতি আওলাদ) আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। মডেল স্কুল সে লুট করে ফেলেছে। ফান্ড সে শুন্য করে ফেলেছে। আমরা চাকরি শেষ হলে কি নিয়ে যাবো। সে ফকির থেকে চারটা বাড়ির মালিক হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, অতিসত্ত্বর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক। ওনার দশবছরের শাসনে স্কুলটি একেবারে নিম্নগামী হয়েছে। তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করি। না হলে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।’

দশ বছরের ব্যবধানে চারটা বাড়ির মালিক হয়েছে জানিয়ে এক শিক্ষক বলেন, ‘উনি উনার মেয়ের চিকিৎসা করতে পারতেন না এই স্কুলে আসার আগে। এখানে আসার পর তিনি চারটা বাড়ির মালিক হয়েছেন। আমাদের জানামতে তার কোনো ব্যবসা বাণিজ্য নেই। আমরা প্রত্যেকটা শিক্ষক তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে সর্বক্ষণ আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত