বশেমুরবিপ্রবির ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

দীর্ঘ ছুটির মধ্যে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ও অনুনোমোদিতভাবে ছুটিতে থাকায় ১৯ নিরাপত্তা কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কক্ষে তালা

এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ-উল-আযহার ছুটি চলাকালীন এবং পূর্বপার সময়ে সকল নিরাপত্তা প্রহরী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের সূচি থাকলেও নিরাপত্তা প্রহরীদের অনেকেই অনুনোমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। যা চাকরিবিধি পরিপন্থি, দায়িত্বে অবহেলার সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ঈদের ছুটিকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে চুরি ঘটনা ঘটেছে এবং কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি গেছে। আপনার স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে হয়তো এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতো না। এছাড়া মেইন গেটে আগত ব্যক্তিদের সাথে অনেকেই সঠিক আচরণ করেন না।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, চাকরিবিধি পরিপন্থি কাজ এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য আপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা পত্র জাড়ির তিন দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নিরাপত্তা কর্মীরা হলেন- শেখ মোজাহিদুর রহমান, লিয়াকত হোসেন, সুলতান ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আকমান হোসেন, হাবিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মুকিত শেখ, নয়ন দাড়িয়া, মাহবুব আল হাসান, এমরান হোসেন, নাসির উদ্দিন মোল্লা, রবিউল ইসলাম, শাহ আলম, আকরাম আলী শেখ, মানস কুমার সিরালী, এমারত পাটোয়ারী, নিয়ামুল ইসলাম ও রাজু আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ১৯ নিরাপত্তা কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেছেন, এ ঘটনায় রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হবার কথা জানালেও একদিন আগে ১০ আগস্ট ৯১ টি কম্পিউটার চুরির কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরে মোট ৪ বার চুরির ঘটনা ঘটলো। এতে অন্তত দেড় শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭ টি ও ২০১৭ সালের আগেও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে,আর