ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

তবুও আফসোস থেকে যাবে: স্পর্শিয়া

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৪২  
আপডেট :
 ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:০৪

তবুও আফসোস থেকে যাবে: স্পর্শিয়া
অর্চিতা স্পর্শিয়া

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা অর্চিতা স্পর্শিয়া অল্প সময়েই ছোট পর্দায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। ‘ইম্পসিবল ৫’ এবং ‘উজান গাঙ্গের নাইয়া’ দিয়ে রীতিমত দর্শকদের প্রেয়সী হয়ে উঠেন। টানা কাজ করেন বিজ্ঞাপন ও নাটকে। মাঝখানে বিরতি দিয়ে নাম লেখান বড় পর্দায়। অভিষেকেই বাজিমাত করে দেন। এখন নিজেকে বড় পর্দাতেই থিতু করেছেন এই নায়িকা।

আজ রাতেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে অর্চিতা স্পর্শিয়া অভিনীত ৬ষ্ঠ সিনেমা ‘নবাব এলএলবি’। সেখানে তিনি জুটি বেঁধেছেন শাকিব খানের সঙ্গে। বাংলাদেশ জার্নালের বিনোদন বিভাগে সম্প্রতি কথা বলেন ‘ কাঠবিড়ালি’ খ্যাত এই নায়িকা। আলাপের চুম্বকাংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো...

বাংলাদেশ জার্নাল: ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আজ। ছবিটি নিয়ে তেমনভাবে কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। এর কারণ কী?

অর্চিতা স্পর্শিয়া: আসলে ছবিটি নিয়ে টিম থেকে প্রচারণার বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি কেউ। আমি সঠিক জানি না আসলে তাদের প্ল্যান কী! যেহেতু আমাকে কিছুই বলেনি সেহেতু আমার কিই বা করার আছে! এর আগের ছবিতে প্রমোশনের জন্য বলা হয়েছিলো, বিভিন্ন প্ল্যানের মাধ্যমে সেটা করেছিও। কিন্তু এবারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না আসলে। তবে যেহেতু আমার সিনেমা তাই আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছি। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ছবিটি দেখার জন্য।

বাংলাদেশ জার্নাল: পরিচালকের সাথে কোনো মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে কি?

অর্চিতা স্পর্শিয়া: না; আসলে সেরকম কিছু না। আর কাজ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে টুকটাক অনেক সমস্যাই হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল: ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

অর্চিতা স্পর্শিয়া: সত্যি বলতে এই ছবিটি নিয়ে আমি অনেক বেশি আশাবাদী। কারণ ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর সবার কাছ থেকে এতো এতো ফোন, মেসেজ পাচ্ছি; যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। অনেক অনেক সাড়া পাচ্ছি ট্রেলারেই। আশা করছি সবাই যখন ছবিটি দেখবে সবারই অনেক ভালো লাগবে।

একটা কাজের পেছনে অনেক শ্রম, কষ্ট লুকায়িত থাকে। সেই কাজটা দেখে দর্শকরা যখন প্রশংসা করে সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি হয়ে যায়। তখন সব কষ্ট এই ভালোবাসার কাছে হার মেনে যায়। ট্রেলার থেকে যে সাড়া পাচ্ছি এতেই আমি সন্তষ্ট। তবে যেহেতু ছবিটা অ্যাপে মুক্তি পাচ্ছে তাই এটা নিয়ে একটু চিন্তিত। দর্শক সেটা কীভাবে নেয় বা সেখানে কতটুক সাড়া ফেলবে; এটা নিয়ে। হলে মুক্তি পেলে সেটা অন্যরকম হতো। কিন্তু যেহেতু অ্যাপে যাচ্ছে; এখন সেটা কয়জন দর্শক দেখবে, কয়জন সেটা ডাউনলোড করবে; সেটা নিয়ে চিন্তিত। এরমধ্যে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, অ্যাপ নাকি ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। সেসব নিয়ে কিছুটা চিন্তা বাড়ছে যে সিনেমাটা আসলে কতজন মানুষের কাছে পৌছাবে!

বাংলাদেশ জার্নাল: এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাই...

অর্চিতা স্পর্শিয়া: শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। আর শাকিবের সঙ্গে আমার বড় মামার খুব ভালো একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং ক্লোজ একটা সম্পর্ক; যার কারণে আমি কাজ করতে আরও বেশি কমফোর্ট ফিল করেছি। সত্যি বলতে আমি তার সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারণা নিয়েই কাজটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু একসাথে কাজ করতে গিয়ে আমার সেই ধারণাটা পাল্টে গিয়েছে। এটা শাকিবও জানে। আমি তাকে সেটা বলেছিও। এই কথা শুনে শাকিব হেসে উঠে। এতটুকু বুঝেছি সে কাজের প্রতি ভীষণ সিরিয়াস এবং সিনসিয়ার। তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। এতটা বছর ধরে সে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। সে সিনেমা সম্পর্কে অনেক ভালো বুঝে। এমনকি সে সেটে পা রাখলেই বলে দিতে পারে যে আজকে কাজটা কেমন হতে পারে বা কী হতে যাচ্ছে! এই আণ্ডারস্ট্যান্ডিংটা তার অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে।

তার সঙ্গে কথা বললেই অনেক কিছু জানা যায়, শেখা যায়। মেকিং নিয়ে, অভিনয় নিয়ে, ইন্ডাস্ট্রি, পজেটিভ, নেগেটিভ সবকিছুই জানার সুযোগ হয়েছে আমার। কারণ সে এই বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝে। আমাকে বিভিন্ন সময়েই পরামর্শ দিয়েছে যে কোন কাজটা কীভাবে করলে ভালো হবে; এরকম। সে কখনও কোনোকিছু কারও ওপর চাপিয়ে দেয় না। বরংচ সে বলে যে, এটা এভাবে না করে ওভাবে করলে হয়তো আরও ভালো হবে বা এটা এভাবেও করা যায়। এখন তুমি যেভাবে করো আর কি!

অনেক সময় দূর থেকে মানুষ চেনা যায় না। সে প্রচন্ড হাসিখুশি মেজাজের এখন মানুষ। সারাক্ষণ সেটে অনেক মজা করে। হ্যাঁ, আবার রাগও করে। আর সে রাগ করলে সেটার পেছনে অবশ্যই কারণ থাকে এবং সেটা যৌক্তিক; এটা দেখেছি আমি। ফ্রম হিস পজিশন হি ইজ অ্যাবসলিউটলি রাইট। সে যদি শাউট করে বা সেট থেকে চলে যায়, সেটা অবশ্যই কারণবশত; এমনি এমনি সেটা করে না শাকিব।

বাংলাদেশ জার্নাল: ছবিতে আপনার চরিত্র নিয়ে কিছু বলুন...

অর্চিতা স্পর্শিয়া: ছবিতে আমার চরিত্রের নাম শুভ্রা, একজন রেপ ভিক্টিম। যখন কেউ শুভ্রার কেইস লড়তে চাচ্ছিলেন না তখন সেই কেইসটা লড়েন শাকিব। আর বাকিটা দর্শকদের জানতে হলে ছবিটা দেখতে হবে। শুধু এটুকু বলবো, আমি এই সমাজের মেয়েদেরকে রিপ্রেজেন্ট করছি। এই সমাজ মেয়েদেরকে যেভাবে দেখে শাকিব সেটার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। আমি দেশের প্রত্যেকটা শুভ্রাকে রিপ্রেজেন্ট করছি আর শাকিব দেশের প্রত্যকেটা শুভ্রার হয়ে লড়েন।

বাংলাদেশ জার্নাল: ছবিটি হলে মুক্তি না পেয়ে অ্যাপে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমা হলের বিষয়টা কি মিস করছেন?

অর্চিতা স্পর্শিয়া: আমি অনেক অনেক বেশ মিস করছি। এটা আমার আফসোস বা ক্ষোভও বলতে পারেন। এই ছবিটা নিয়ে আমার একটাই কষ্ট যে, এটা সিনেমা হলে চলবে না। হলের বিষয়টা আসলেই অন্যরকম। যতোই ঘরে বসে হোম থিয়েটার করে দেখি না কেনো সিনেমা হলে দেখার অনুভূতিটা আসবে না। সিনেমা হলে দর্শকদের পাশে বসে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। দর্শকদের রিয়েকশন দেখে আরও বেশি লাগে। দর্শকদের রিয়েকশনটা আমি খুব এনজয় করি। এবার সেই বিষয়গুলো অনেক বেশি মিস করবো। তবুও হলে দেখার আফসোসটা থেকে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত