ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

৮ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করলেন খামেনি

৮ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করলেন খামেনি

দীর্ঘ আট বছর পর শুক্রবার তেহরানে জুমার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। মার্কিন হামলায় কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহতের পর দেশ জুড়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা নিয়েই জাতির উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখার জন্যই তিনি জুমার নামাজে যোগ দেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে জানায়, এরই মধ্যে তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন খামেনি। তিনি জুমার নামাজ শেষে দোয়ায় নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে খুতবা দেয়ার সময় তিনি ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের মুখে ইরানের একটি চপোটাঘাত।

খামেনি দীর্ঘ আট বছর বিরতির পর তিনি জুমার নামাজ পড়াতে আসলেন। খামেনি সর্বশেষ শুক্রবারের দোয়ায় নেতৃত্ব দেন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন তিনি ইসরায়েলকে ‘ক্যানসারাস টিউমার’ বলে অভিহিত করেন। এর বিরুদ্ধে যারা লড়বে তাদের সমর্থনের কথাও জানান। এছাড়া তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে মার্কিন হামলা হলে দশগুণ বেশি ধ্বংসের হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রকে।

এদিকে সর্বোচ্চ নেতা নামাজ পড়াবেন এ তথ্য জানতে পেরে শুক্রবারের জুমার নামাজে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মুসল্লিদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে ইরানি জেনারেল সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল মোহানদেসের ছবি। এরই মধ্যে অনেকেই আমেরিকা ও ইসরাইলের পতাকায় আগুন দেয়। অনেকে ‘আমেরিকা ধ্বংস হউক’ বলে স্লোগন দেয়।

খামেনি এমন এক সময়ে তেহরানে ইমামতি করতে এলেন যখন ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু চলছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রুহানির পদত্যাগ দাবি কর স্লোগান দিচ্ছে। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ইমাম খামেনির প্রতিও তাদের ক্ষোভ গোপন থাকেনি। এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তেহরানের ওপর ক্রমশঃ চাপ বাড়িয়ে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্র কানাডাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। বৃহস্পতিবার কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা এ ঘটনায় ইরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানি এলিট গার্ড আল কুদসের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি। পরে জানা যায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছিল বিমানটি। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন। নিহতদের প্রায় সবাই ছিলেন ইরান বা ইরানি বঙশোদ্ভূত নাগরিক।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ফাঁস হওয়ার পরই তেহরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এসব ঘটনা প্রেক্ষিতেই আজ শুক্রবার জমার নামাজে ইমামতি করছেন খামেনি।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত