ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনাভাইরাস সীমাবদ্ধ নয় চীনে, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:২৩  
আপডেট :
 ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৪২

করোনাভাইরাস সীমাবদ্ধ নয় চীনে, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শসহ প্রাণঘাতী নতুন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহরে গত দুদিন ধরে আটকে পড়েছেন অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অনেকেই দেশে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, উহানের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে তাদের মজুতকৃত খাবারও ফুরিয়ে আসছে। ফলে খুব শীঘ্রই তারা খাবারের সংকটে পড়বেন।

হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ সৌরভ জানান, ভাইরাসটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহানের আশেপাশের আরো ১০টি শহরেও একইভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ শহরে আটকা পড়েছেন বলে জানান তিনি।

রাকিবিল তূর্য (২৩) নামে একজন শিক্ষার্থ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চললেও তাকে ২৩ জানুয়ারি থেকে হোস্টেলে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো অন্তত আরো ১৪০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। কিন্তু, বাংলাদেশি দূতাবাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউই এখন পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীসহ সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কেউ যদি ভাইরাসে আক্রান্তহ হয়ে দেশে ফেরে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা রয়েছে । এদিকে চীন থেকে দেশে ফেরা যাত্রীদের বিমানবন্দরেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রবেশের জন্য সতর্ক অবস্থানে আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার চীন থেকে আসা ১৭৮৩ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভাইরাসে এখনও কেউ শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে ন। যুক্তরাজ্যের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিস অ্যানালাইসিসের বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, চীনের ভেতরে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।

তারা বলছেন, ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, যেটি এই ভাইরাসের এত বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারার 'একমাত্র যৌক্তিক ব্যাখ্যা।' একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে আড়াইজন মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে।

সংস্থাটি চীনা কর্তৃপক্ষের প্রয়াসের প্রশংসা করেছে, কিন্তু এরকম আশঙ্কাও প্রকাশ করছে যে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ছড়িয়ে পড়ার হার ৬০% কমাতে হবে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করা সহজ নয়।

অন্যদিকে, ল্যাংকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের ধারণা অনুযায়ী এবছরে ১১ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের অনুমান সত্যি হলে এই সংখ্যা সার্স'এ আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভাইরাস এর আগে কখনো দেখা যায়নি, তাই এটিকে বলা হচ্ছে ২০১৯-এনকভ, অথবা 'নভেল করোনাভাইরাস। পশু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন ভাইরাস মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইতি মধ্যে বিশ্বের ১৩ দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো হচ্ছে.. 1. কানাডা 2. ফ্রান্স 3. জাপান 4. অস্ট্রেলিয় 5. মালয়েশিয়া 6. নেপাল 7. সিঙ্গাপুর 8. দক্ষিণ কোরিয়া 9. তাইওয়ান 10. থাইল্যান্ড 11. যুক্তরাষ্ট্র 12. ভিয়েতনাম 13. ম্যাকাও

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত