অমিতকে কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ জানালেন মেহবুবার মেয়ে
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর কেটে গিয়েছে ৬ মাসের বেশি সময়। এতদিন পরেও মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাশ্মীরবাসী কতটা ক্ষুব্ধ তা বুঝতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাশ্মীর সফরের পরামর্শ দিলেন মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা। বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকে কাশ্মীরে পা পড়েনি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
বাজেটে অধিবেশনে কাশ্মীর সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র দাবি করেছিল, উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত। গত ছয় মাসে সেখানে কোনও জনবিক্ষোভ দেখা যায়নি। কমে গিয়েছে জঙ্গি হামলার ঘটনাও।
কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মোদি সরকারের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন ইলতিজা। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহের কাশ্মীরে গিয়ে দেখা উচিত যে সেখানকার মানুষ আসলে কতটা ক্ষুব্ধ। অমিত শাহ যদি কাশ্মীরের রাস্তায় হাঁটেন, তবে তাকে সেলাম করব।’ সূত্র: আনন্দবাজার
তিনি বলেন, কাশ্মীরবাসী যতটা স্থানীয় রাজনৈতিক দল যেমন পিডিপি ও এনসি-এর নেতৃত্বের উপরে চটে রয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি রেগে আছেন মোদি সরকারের ওপর। কাশ্মীরের আসল চিত্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঠিক ধারণা নেই বলেই মত তার। ইলতিজা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি। কিন্তু হয়তো তাকে (কাশ্মীর নিয়ে) ভুল বোঝানো হচ্ছে অথবা তিনি উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে দেশকে ভুল বোঝাচ্ছেন।’
ইলতিজার মা মেহবুবা মুফতি জন নিরাপত্তা আইনে গত ছয় মাস ধরে জেলে বন্দি। শীঘ্র তার মুক্তির কোনও সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী মন্তব্য, উপত্যকায় নিরাপত্তাকর্মীদের ভৌগোলিক অবস্থান ফাঁস করে দেওয়া, হিংসাত্মক কার্যকলাপে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোর অভিযোগে প্রায় দু’শো কাশ্মীরির বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক সাংবাদিকও। পুলিশের দাবি, ধৃতদের একটি বড় অংশের কাছ থেকে দেশবিরোধী প্রচারের নথি পাওয়া গিয়েছে।
আজ পুলিশের সেই দাবিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা বলেন, ‘আমি কাশ্মীরে গিয়ে ভিপিএন ব্যবহার করব। পুলিশ চাইলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারে।’
সম্প্রতি উপত্যকায় টুজি মোবাইল পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কাশ্মীর প্রশাসন। কিন্তু প্রায় সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উপত্যকায়। ইলতিজার প্রশ্ন, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এমএ/