করোনা ভাইরাস: গরিবের দুই বিপদ
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২০, ২২:৪৩
বিশ্বের অন্যতম বড় বস্তিকে ঘিরে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা। তাতে কি কোনো কাজ হবে? বিশ্বের কোনো বস্তির মানুষকে নিয়েই আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে দক্ষিণ অ্যামেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে শতকরা ২০ ভাগ মানুষেরই বাস বস্তিতে। ওই অঞ্চলে করোনা ভাইরাস এখনো বেশি ছড়ায়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, একবার ছড়ালে ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি। খুব স্বল্প আয়ের মানুষেরাই বাস করেন বস্তিতে। তাদের প্রায় সবাই অপুষ্টিতে ভুগছে। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম। করোনায় সংক্রমিত হলে বস্তির মানুষের মৃত্যুহার অনেক বেশি হবে বলে সব দেশের সরকারের প্রতি এ বিষয়ে এখন থেকেই সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও)-এর সহকারী পরিচালক জার্বাস বারবোসা।
দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশগুলো করোনার বিস্তার রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে পেরু সরকার। কোস্টারিকা আর কলম্বিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বস্তিগুলোর একটি ব্রাজিলের রোচিনহা। সেখানকার মানুষদের নভেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে কমিউনিটি রেডিও এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রচারণা।
‘সেল্ফ আইসোলেশন’ এবং ‘হোম কোয়ারান্টিন’ কথা দুটো খুব হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে বস্তিবাসীদের বেলায়। একটি কক্ষে গাদাগাদি করে যেখানে ১৫ থেকে ২০ জন থাকে, সেখানে করোনায় সংক্রমিত হলে একা আলাদা থাকবে কী করে?
সংক্রমিত না হলেও বস্তিবাসীদের জন্য বিপদ এড়ানো কঠিন। বস্তিতে যারা থাকেন, তাদের বেশিরভাগই গৃহকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক বা ফেরিওয়ালা। করোনার কারণে তাদের অনেকেই এখন কর্মহীন। একবেলার খাবার জোগাড় করাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
