ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনা শূন্য থাইল্যান্ড

করোনা শূন্য থাইল্যান্ড
সামাজিক দূরত্বের নিয়মটি কড়াকড়িভাবে মেনে চলছে থাইল্যান্ডবাসী

গত দু’দিন ধরে থাইল্যান্ডে নতুন কোনও করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মাত্র ৬৫ দিনের চেষ্টায় দেশটিকে করোনা শূন্য করতে সক্ষম হয়েছে থাই সরকার। বুধবার থাই কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট।

দেশটির সেন্টার ফর কোভিড-১৯ সিচুয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন বুধবার সকালে জানায়, দেশটিতে মোট ৩ হাজার ১৭ জন কোরানা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। আর মারা গিয়েছিল মোট ৫৬ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কোনও নতুন করোনা আক্রান্ত নেই।

সংস্থাটির মুখপাত্র ডাঃ তাউইসিল্প ভিসানয়োথিন বলেন, ‘যারা করোনা নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখেছেন, তাদের সাথে আমিও খুশি। আমরা ৩ মে থেকে ব্যবসা পুনরায় চালু করার পর থেকে আরও ভালো করে যাচ্ছি।’

থাইল্যান্ডে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে মার্চের নয় তারিখ। এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ধরা পড়ে।

এপ্রিল মাস জুড়ে ওঠা-নামা করেছে কিন্তু খুবই কম, একদিনে শতাধিক রোগী ধরা পড়েছে। কিন্তু চলতি মাসের গোড়া থেকেই করোনা সংক্রামণ কমতে থাকে। ওই সময় একক সংখ্যায় নেমে আসে আক্রান্তে সংখ্যা। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল গত ৪ মে। ওইদিন ১৮ জন করোনা রোগী ধরা পড়ে যাদের সবাই ছিল দেশটির সোনখোলা প্রদেশের অভিবাসী। কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই অভিবাসীদের ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে স্থানীয়দের মধ্যে কেউ সেদিন করোনায় আক্রান্ত হননি।

এদিকে গত দুই দিনে থাইল্যান্ডে কোনো নতুন রোগী ধরা পড়েনি।

ডাঃ তাউইসিল্প ভিসানয়োথিন জানান, মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৬ জন রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ হাজার ৮৪৪য়ে উন্নীত হয়েছে। থাইল্যান্ডে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাত্র ১১ জন রোগী।

ডাঃ তাউইসিল্প ভিসানয়োথিন বলেন, থাইল্যান্ডের জনগণ করোনা নিয়ন্ত্রণের নিয়মাদি মেনে চলার কারণেই এত দ্রুত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে তারা সফল হয়েছেন। তিনি মনে করেন, দেশের লোকজন ঘন ঘন হাত ধোয়া, ফেসমাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কারণেই আজ তারা এ অবস্থায় পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় গত ১০ দিন আগেই দেশটিতে লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। যদিও রেস্টুরেন্ট, বার ও পার্কগুলোতে এখনও সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশাধিকার দেয়া হয়েছে।

সূত্র: ব্যাংকক পোস্ট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত