হাওড়া স্টেশন যেন রণক্ষেত্র!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৯
ভারতের কলকাতার বিভিন্ন স্টেশনের পর এবার যাত্রীদের বিক্ষোভ আঁছড়ে পড়ল হাওড়া স্টেশনে। শুক্রবার ও শনিবার— পরপর দু’দিন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার দাবিতে যাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাওড়া স্টেশন। যদিও গতকালের তুলনায় এদিন বিক্ষোভে সামিল হয় প্রচুর মানুষ। আর তা ঘিরে রণক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরি হয় হাওড়া স্টেশন চত্বরে। লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় জিআরপি। এতে আহত হয়েছেন মহিলা যাত্রীসহ অনেকেই।
শনিবার সন্ধ্যায় স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী হাজির হয় হাওড়া স্টেশনে। কিন্তু তাদের স্টেশনে ঢুকতে বাধা দেয় রেলপুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শয়ে শয়ে মানুষের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয় স্টেশনে।
তাদের প্রশ্ন, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে তাদের কেন উঠতে দেওয়া হবে না! রেলকর্মীরা যারা প্রচুর টাকা বেতন পান, তারা ওই ট্রেনে উঠতে পারবেন। অথচ সাধারণ মানুষকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিন হাওড়া স্টেশনের গেটের তালা ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। লাঠিচার্জ করতে এলে পুলিশের লাঠি কেড়ে নেওয়া হয়। পাল্টা পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারা হয় লাঠি। এক মহিলা পুলিশকে ভিড়ের মধ্যে টেনে নিয়ে মারধর করতে শুরু করেন মহিলা যাত্রীরা।
তাদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় এদিন যাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মহিলা যাত্রীদের অভিযোগ, জিআরপির পুরুষ পুলিশরা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
প্রথমদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলেও পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে এদিন ছত্রভঙ্গ করে দেয় যাত্রীদের। স্টেশনের বাইরে বের করে দেওয়া হয় তাদের। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেরই লাঠির ঘায়ে কমবেশি চোট পেয়েছেন। যদিও বিক্ষোভরত জনতার মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে জানান যে তারা স্বাস্থ্যকর্মী। জিআরপিকে তারা পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন। তবুও তাদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
অন্যরা যা পড়ছে:
> করোনায় জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ
> করোনা থেকে সুস্থ ৩ কোটি ২৯ লাখ
> সৌদির ওপর ক্ষুব্ধ ভারত-পাকিস্তান
> সব ধর্মের প্রতি সম্মান জানানো উচিত
> করোনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু