ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ফেডারেল কমিশনার

‘ভোট কারচুপির কোন প্রমাণ নেই’

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২০, ২১:৩৯  
আপডেট :
 ০৭ নভেম্বর ২০২০, ২১:৪৫

‘ভোট কারচুপির কোন প্রমাণ নেই’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চিয়তার এখনও অবসান হয়নি। ভোটের দিন থেকে হয়ে যাচ্ছে ভোটের সপ্তাহ। ভোট গণনা এখনও চলছে, তবে ট্রাম্পের ভোট কারচুপির মামলা নিয়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্র অনিশ্চয়তা আর অস্থিরতায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন ‘বাস্তবিক অর্থে ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই।’ খবর সিএনএনের।

ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এলেন উইনট্রব মার্কিন জনগণকে জানাতে চান, চলতি বছর নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোট জালিয়াতির প্রমাণ তাদের কাছে নেই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচার শিবির থেকে একের পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও এর স্বপক্ষে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ হাজির করা হচ্ছে না। এতে রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতারা অস্বস্তিতে আছেন। তাদের দৃষ্টিতে এ ধরনের অভিযোগ মার্কিন গণতন্ত্রের অন্যতম একটি ভিতের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এলেন শনিবার সকালে সিএনএনকে বলেন, ‘দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তাতে খুবই নগণ্য অভিযোগ এসেছে। বাস্তবসম্মত ও অকাট্য প্রমাণ আছে এমন অভিযোগ খুবই কম। ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ ভোট নেওয়া হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। মুখে কিছু বলে দিলেই তো হলো না।’

এলেন আরও বলেন, দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ, নিরপেক্ষ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা দেখছেন নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। তারা কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি।

গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল এখনো পাওয়া বাকি। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে মিশিগান ও উইসকনসিনে এগিয়ে থাকলেও পরে পিছিয়ে পড়েন তিনি। অঙ্গরাজ্য দুটি হাতছাড়া হয় তার। এ অবস্থায় ট্রাম্প একের পর এক ভোট জালিয়াতি করছেন। এমনকি তিনি মার্কিন বিচার বিভাগের দিকেও আঙুল তুলেছেন। বলছেন, অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সুপ্রিম কোর্ট মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করছে।

রিপাবলিকান দলের কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, দলটির শীর্ষ নেতারা চান ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠরা যেন তাঁদের তোলা অভিযোগ আরও স্পষ্ট করে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। এর পর আদালত তার নিজের নিয়মে বিষয়টির মীমাংসা করুক। এ সম্পর্কিত মামলা যদি আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ে, তবে ট্রাম্পের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকবে না। সে ক্ষেত্রে সরাসরি প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করারও কোনো প্রয়োজন পড়বে না তাদের।

প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু দলের নেতা কেভিন ম্যাককার্থি প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবির পক্ষে হলেও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল বেশ সতর্ক। ম্যাককোনেল একদিকে বলছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের তোলা দাবিকে সম্মান জানানো উচিত। অন্যদিকে বলছেন, এখন পর্যন্ত জালিয়াতির যে অস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে, তাকে তিনি সমর্থন করেন না।

আরো পড়ুন: শেষবেলায় ‘সমর্থক’ মিডিয়াও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত