ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফাইজার টিকার পেছনে যে দম্পতি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৭:০৩

ফাইজার টিকার পেছনে যে দম্পতি

সোমবার ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম তাদের টিকা। টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই সফলতা দেখা গেছে।

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন (৫৫) ও তার স্ত্রী ও বোর্ডের সদস্য ওজলেম টুয়েরেসি (৫৩)। গতকাল ওই খবরে পুঁজিবাজারে বায়োএনটেকের শেয়ারের দাম ব্যাপক বেড়ে যায়। আর তাতেই জার্মানির শীর্ষ ১০০ ধনীর মধ্যে উঠে এসেছে এই দম্পতির নাম।

তুর্কি থেকে জার্মানিতে আসা এক অভিবাসীর সন্তান সাহিন। তার বাবা জার্মানির কোলোনে গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোর্ডের একটি কারখানায় কাজ করতেন। ছোটবেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাহিন। এটাই ছিল তাঁর ধ্যান জ্ঞান স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশেই মেডিসিন ও চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। শুরুতে হামবুর্গের একটি হাসপাতালে শিক্ষকতায় কাজ শুরু করেন।

ক্যারিয়ারের শুরুতে সেখানেই টুয়েরেসির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। চিকিৎসা গবেষণা এবং ক্যানসার বিজ্ঞান তাঁদের দুজনের আবেগের জায়গা হয়ে উঠে। তাদের বিয়ের দিনও দুজন ল্যাবে কাজের জন্য সময় তৈরি করে নিয়েছিলেন।

এই দম্পতি শুরু থেকেই কাজ করেছেন ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে। যৌথ গবেষণায় তারা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন ইমিউন সিস্টেম তৈরিতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে উদ্যোক্তা হিসাবে জীবন শুরু হয় তাদের। উগুর সাহিন ও ওজলেম টুয়েরেসির গবেষণা কার্যক্রমকে বলা যায় স্বামী-স্ত্রীর এক স্বপ্নের দল। করোনা মহামারির এই সময়ে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছেন তারা। এমআইজির ক্রোমায়ার বলেন, ‘টুয়েরেসি এবং সাহিনের জুটি একটি ‘ড্রিম টিম’। তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে মেলাতে পেরেছেন।’জার্মানিতে পাড়ি জমান এক তুর্কি চিকিৎসকের মেয়ে টুয়েরেসি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাহিন বলেন, গবেষণায় ‘অসাধারণ সাফল্য’প্রমাণিত হয়েছে। তবে কাজটি সামগ্রিকভাবে যে এতটা কঠিন হবে তা বছরের প্রথম দিকে তিনি বুঝতে পারেননি।

ক্যানসার বিরোধী এমআরএনএ ওষুধ থেকে এমআরএনএ ভিত্তিক ভাইরাল ভ্যাকসিন তৈরি কত ছোট পদক্ষেপ এ বিষয়টি বোঝান তিনি। বায়োএনটেক দ্রুত এই প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং গবেষণার জন্য ৫০০ সদস্যের একটি দল গঠন করে। মার্চে গবেষণার অংশীদার হিসেবে ফাইজার ও জিনের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফুসানকে পায় তারা।

তার পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাদের। একর পর এক বাধাঁ পেরিয়ে বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তির টিকা উদ্ভাবন করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত