ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাইডেনের শপথ বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:২৮

বাইডেনের শপথ বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
বাইডেন-কমলা

প্রতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগে উৎসবের রঙ লাগে ওয়াশিংটন ডিসিতে। তবে এবারের গল্পটা ভিন্ন। ওয়াশিংটনকে চালিয়ে দেওয়া যায় একটি অবরুদ্ধ দূর্গ বলে। যেখানে থাকার কথা ছিলো অন্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটকদের ভির।

সেখানে পড়ে আছে কাটাতার আর ব্যারিকেড। অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের দেখলে মনে হবে, আফ্রিকার কোন গৃহযুদ্ধকবলিত শহরে যুদ্ধ চলছে। কর্তৃপক্ষ শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে আসলে বলতে চাইছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে কাউকে কোনও ধরণের সুযোগ দেওয়া হবে না।

গত চার দশক ধরে মার্কিন ক্যাপিটল হলে কথা বলে যাচ্ছেন জো বাইডেন তবে বুধবারের এবারের বক্তিতা নতুন এক মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। বিজয়ের পর থেকে গত ৭২ দিন ধরে নতুন করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে ভাষণ প্রস্তুত করে যাচ্ছেন বাইডেন। তবে ট্রাম্পের একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আর বিপরীত অবস্থানের মুখে এ পথ সহজ ছিল না বাইডেনের জন্য।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ হামলার আশঙ্কা করছে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের সব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ কঠোর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সেখানে কাজ করছে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের আগে অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির অস্থায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার। পেন্টাগনের এই অস্থায়ী প্রধান সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের অভিষেক ঘিরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের সুরক্ষায় সহায়তা করতে ২৫ হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে আর এই কাজে এফবিআই সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করছে।

‘যদিও আমাদের কাছে অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই তারপরও বড় ধরনের নিরাপত্তা ইভেন্টের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা স্বাভাবিক, রাজধানীকে সুরক্ষিত করতে ‘কোনো পাথরই উল্টে দেখতে’বাকি রাখছি না আমরা,’বিবৃতিতে বলেছেন মিলার। মিলার এই কাজে এফবিআইয়ের সহায়তার প্রশংসা করেন।

ক্যাপিটল, পেনসেলভেনিয়া অ্যাভিনিউ, দ্য ন্যাশনাল মল কিংবা হোয়াইট হাউজে যাবার আধা মাইল আগে থেকেই রোডব্লকের মুখোমুখি হতে হবে। একটু পরপর মুখোমুখি হতে হবে কংক্রিট ব্যারিকেড আর উঁচু কাটাতারের। চাইলেই এখন আর ক্যাপিটল এরিয়ার দিকে আরাম করে যাওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হন ও মার্কিন আইনপ্রণেতারা আত্মরক্ষার্থে লুকিয়ে পড়তে বাধ্য হন। এই ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ক্যাপিটল ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত