প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২০
দিল্লির উত্তেজনায় আসছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দিল্লি উত্তেজনায় ফুঁসছে। দিল্লির সিংঘু সীমান্তে এখনও বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্তির আশঙ্কায় হরিয়ানা রাজ্যে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। দিল্লির সকল জেলাতে পুলিশ কর্তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাম নেতা মুহাম্মদ সেলিম বলেন, মোদি সরকার যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে দিল্লিতে। যদি দিল্লির রাজপথে বাংলাদেশের সেনা প্যারেড করতে পারে তাহলে দেশের কৃষকরা কেন আন্দোলন করতে পারবে না।
|আরো খবর
এদিকে কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা ট্রাক্টর র্যালিতে ইতি টেনে আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে যাওয়ায় তারা অনুতপ্ত বলে জানিয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার দাবি, কৃষক আন্দোলন বানচাল করার জন্য কিছু সমাজবিরোধী এই হিংসা ছড়িয়েছিলো।
গতকাল দিল্লির লালকেল্লায় জোড় করে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধ্বস্তাধস্তি হয় কৃষকদের। পুলিশ আন্দোলনরত কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় এবং লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাক্টর চাপা পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু ঘটে। এদিকে দিল্লিতে কৃষকদের উপর পুলিশি লাঠি চার্জের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লির ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন।তিনি ট্যুইটে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের উদাসীনতার কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক আন্দোলনকে লঘু করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/নকি